বাজারের মূল্যবৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে সটান বাজারে ঢুঁ মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খরগপুর যাওয়ার পথে ঘুরে দেখলেন যদুবাবুর বাজার। সেখানে বিক্রতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন এত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন? পাইকারি বাজার থেকে কত দামে তাঁরা পেঁয়াজ কিনছেন? কোথা থেকে এই বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন?
বাজারে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন 'কাল থেকে এই এলাকার রেশন দোকানে ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। আপনাদেরও দাম কমাতে হবে'। এদিন মুখ্যমন্ত্রী খড়গপুরে বলেন, আমরাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে ৫০ টাকা ভুর্তুকি দিয়ে রেশন দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
খাদ্য সাথীতে পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগানো হবে হবে। সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, ‘রেশন দোকানে কেজি প্রতি ৫৯ টাকা দরে পাওয়া যাবে পেঁয়াজ। আপাতত পরিবার পিছু ১ কেজি করে পেঁয়াজ রেশন থেকে মিলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘
কলকাতার খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। ফলে, পেঁয়াজ ছাড়াই আপাতত সাড়তে হচ্ছে রসনার যাবতীয় আয়োজন। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই থাকবে বলে মনে করছেন রাজ্য সরকার গঠিত বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রক টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে।
ভর্তুকি দিয়ে রেশন দোকান থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, রেশনে আজ থেকেই মিলবে সুলভে পেঁয়াজ। শহরের ৯৩৫টি রেশন দোকান ছাড়াও ভর্তুকিতে পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রে ৪০৫টি খাদ্য সাথীকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।