একুশের ভোটে ধরাশায়ী বিজেপি। কঙ্কালসার অবস্থায় পদ্মের বঙ্গ সংগঠন। তারপর থেকে আর গত এক বছর মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। আগামী বছর রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট। ফের বাংলায় মিঠুন। তাঁর হঠাৎ আবির্ভাব নিয়ে সাফ বললেন, 'শরীর খারাপ থাকায় আসতে পারিনি। তবে এখন ঠিক আছি। দিল্লি যা কাজ দেবে করব।'তাহলে কী পদ্ম-ফুল হাতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ঝাঁপাবেন 'মহাগুরু'? সাবধানী অভিনেতা-রাজনীতিবিদের উত্তর 'জানি না।'একনাথ শিণ্ডেদের ভর করে বিজেপি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফিরতেই হুঙ্কার দিতে শুরু করেছেন শুভেন্দু থেকে সুকান্ত। তাঁদের দাবি, 'এবার অপরেশন লোটাস' বাংলাতেও। ২৪-য়ের আগেই পতন হবে মমতা সরকারের। এই প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, 'এটা আমি বলতে পারব না। ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।'বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে সরব বিজেপি। মিঠুন চক্রবর্তী অবশ্য বললেন, 'ভোটের পর যা হয়েছে তার জন্য দুঃখ পেয়েছি।'বাংলার ভোটে ২০০-র স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অমিত শাহ। চলেছিল জোর প্রচার। কিন্তু, ৭৭-রেই থামতে হয় গেরুয়া দলকে। তারপরও একের পর এক পদ্ম বিধায়ক তৃণমূলে ফিরেছেন। কার্যত দিশেহারা বঙ্গ বিজেপি। তবে, এতে হাল ছাড়ার মত কিছু হয়নি বলেই দাবি রূপলি পর্দার লড়াকু অভিনেতা মিঠুনের।তিনি বলেন, 'বিজেপি বাংলায় ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। আমি খুশি। ৫৬ লাখ থেকে বিজেপি ২ কোটি ২৮ লাখ মানুষের ভোট পেয়েছে। জয়ের একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। তবে, এটাই বিজ্ঞান। একবারে হবে না, আস্তে আস্তে হবে।'ভোটে কেন হতাশজনক ফল হল বিজেপির? মিঠুনের মতামত, '২০২১ সালের ভোটে কর্মীদের আরও উৎসাহ করতে পারলে ভাল হত। আসা করি সেটা বাড়বে। বিজেপি ভাল ফল করবে।'