পশ্চিমবঙ্গ Photos

লকডাউনে এ যেন কলম্বাসের খোঁজা এক জায়গা 'বর্তির বিল'

লকডাউনে অনেকের হাতে কাজ চলে গিয়েছে সে সময় বর্তির বিলের মানুষ ডিঙ্গি নৌকাকে উপার্জনের জন্যে বেঁছে নিয়েছেন।

Written by IE Bangla Web Desk

লকডাউনে অনেকের হাতে কাজ চলে গিয়েছে সে সময় বর্তির বিলের মানুষ ডিঙ্গি নৌকাকে উপার্জনের জন্যে বেঁছে নিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বর্তির বিল, Bartir bil, bartir bill, বরতির বিল, bortil bil, borotir bil, ওয়েস্ট বেঙ্গল, West bengal, পশ্চিমবঙ্গ, west bengal 2020, বিল, bill, বারাসাত, Barasat, ব্যারাকপুর, Barrackpur, কলকাতা, Kolkata, টুরিস্ট স্পট, tourist, tourist places in kolkata, ট্যুরিজম, tourism, ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যুরিজম, tourism in west bengal, ট্রাভেলার, west bengal tourism packages, traveller করোনা, Corona, করোনা মহামারী, corona pandemic, মহামারী, Pandemic, নীলগঞ্জের বর্তির বিল,bartir bill nilganj, নীলগঞ্জ বর্তির বিল, bartir bill, নীলগঞ্জ, nilganj, কোভিড-১৯, covis-19 দুর্গাপূজা, Durgapuja, কাশফুল, tour and travel agency kolkata, bortir bil 2020, বর্তির বিল ২০২০, india 2020, ভারত ২০২০

যতদূর চোখ যায় ততদুর শুধু জলা জমির বিল। এই বিস্তীর্ণ এলাকার মাঝখানে মাঝখানে কচুরিপানা আর সাদা শাপলা। এর মাঝে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে রয়েছে ডিঙ্গি নৌকা। আশ্বিন কার্তিকের ঠাণ্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসছে। এবড়ো খেবড়ো ভাঙ্গা মাটির রাস্তায় গাড়ি চলতে সমস্যা হয়। তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই। দলে দলে মানুষ ভিড় করছে সাধারণ এই গ্রাম্য দৃশ্য দেখতে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

  • যতদূর চোখ যায় ততদুর শুধু জলাজমির বিল। এই বিস্তীর্ণ এলাকার মাঝখানে মাঝখানে কচুরিপানা আর সাদা শাপলা। এর মাঝে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে রয়েছে ডিঙি নৌকা। কার্তিকের ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসছে। এবড়ো খেবড়ো ভাঙা মাটির রাস্তায় গাড়ি চলতে সমস্যা হয়। তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই। দলে দলে মানুষ ভিড় করছে সাধারণ এই গ্রাম্য দৃশ্য দেখতে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • গত কয়েকমাস গৃহবন্দি হয়ে মানুষ একঘেয়ে উঠেছে, সাধারণ জিনিসগুলো যেন অসাধারণ লাগছে তাঁদের কাছে। একটা খোলা আকাশ আর একটু বিশুদ্ধ অক্সিজেনের জন্যে মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। তখনই বর্তির বিল যেন সকলের কাছে শাপে বর হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে বর্তির বিলের নানা ছবি ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ার। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • সেই ছবিগুলোর সঙ্গে সকলে এখন কমবেশি পরিচিত। লকডাউনে কিছু মানুষ যখন ঘরে বসে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ শিখেছে, তখন আর কিছু মানুষ বাড়ির পাশের জায়গাগুলিকেই নতুন ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানা তৈরি করে নিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • ঠিক এভাবে কোনও একজন ঘুরতে গিয়ে বর্তির বিলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই ছবি। লকডাউনে ঘরে বসে থাকা হাসফাঁস করা প্রাণ যেন খুঁজে পায় স্বস্তি। বারাসত-বারাকপুর রোডের মাঝখানে নীলগঞ্জ। নীলগঞ্জের ভিতর বারবেড়িয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত আর সেখানেই বর্তির বিল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • বারাসত-বারাকপুরের লোকেদের এই জায়গা অনেক আগে থেকে বেশি চেনা। তবে এই চেনা জায়গাকে নতুন করে চিনিয়েছে লকডাউন। গত সাত আট মাস যাবৎ পার্ক, রেস্তরাঁ সবই বন্ধ ছিল। বাড়ির আশেপাশের জায়গাকেই বেছেছে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে। করোনা মহামারীর জন্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে হয় ঘূর্ণিঝড় আমফান। লকডাউনে অনেকে কাজ হারায়, আর ঘূর্ণিঝড়ে অনেকে হারায় মাথার ছাদ। তবে এসবের মাঝে একটু আশার আলো দেখতে পান বর্তির বিলের মানুষজন। একবছর আগেও যে জায়গা পরিচিত ছিল স্থানীয় মানুষদের কাছে এখন সেই জায়গা দেখতে মানুষ আসেন দূরদূরান্ত থেকে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • আমফানের জন্যে বর্ষা এই বছর একটু তাড়াতাড়ি এসেছে। বর্তির বিলের মানুষের প্রধান জীবিকা চাষবাস। এই বছর ঝড়ে চাষের জমির অনেক ক্ষতি হয়। সময়ের আগে আর অন্যান্যবারের তুলনায় এবার চাষের জমিতে জল জমে নষ্ট হয় অনেক ফসল। এখানকার লোকেরা ডিঙি নৌকা নামায় বিলে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • এই ডিঙি নৌকা মূলত ব্যবহার করত শাপলা তুলতে আর মাছ ধরার কাজে। এখন সেই ডিঙি নৌকাই এখানকার মুল আকর্ষণ। প্রিওয়েডিং ফটোশুট থেকে প্রাকৃতিক ছবি প্রেমী সকলের কাছে প্রথম পছন্দের জায়গা এখন এটি। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • লকডাউনে অনেকের হাতে কাজ চলে গিয়েছে সে সময় বর্তির বিলের মানুষ ডিঙি নৌকাকে উপার্জনের জন্যে বেছে নিয়েছেন। ঘণ্টা প্রতি একজনের জন্যে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দিলে বর্তির বিল ঘুড়িয়ে দেখান তাঁরা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • বিয়ে কিংবা ছবি তোলার জন্যে ভাড়া একটু বেশি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো। বর্তির বিলেরই ডিঙি নৌকা চালক বছর পঞ্চাশের সঞ্জয় রাইয়ের কথায়, গত তিরিশ বছর ধরে তিনি মাছ ধরা আর চাষবাসের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • প্রতি বছর শীতকালে কিছু স্থানীয় মানুষ পিকনিক করার জন্যে এখানে আসতেন কিন্তু এই বছর বর্ষা থেকে যে পরিমাণ মানুষ আসতে শুরু করেছে তা কোনওদিন ভাবতে পারেননি। সকালে শাপলা তোলা আর মাছ ধরার কাজ করেন আর বিকেলে মানুষদের ডিঙি নৌকায় ঘোরান। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • বিকেল ৩টে থেকে মানুষ এখানে আসতে শুরু করেন, সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁরা থাকেন। যদিও এখন বিলের জল শুকিয়ে আসছে। জল থেকে তোলা শুকনো পাট গাছ সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জল নামলে শুরু হবে নতুন চাষের কাজ। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • হিসেব মতো বর্ষার সময়টাই এখানে ঘুরতে আশার আদর্শ সময় বলে মনে করছেন বর্তির বিলের মানুষেরা। এই বর্তির বিল টুরিস্ট স্পট না হয়েও মানুষের কাছে যেভাবে ট্যুরিজমের জায়গা হয়ে উঠেছে তা আগামীতে রাজ্যের বাইরের থেকেও লোক ঘুরতে আসতে পারে তা বলাই যায়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
tourism West Bengal