১২৪ বছরের পুরনো বেনিয়াটোলার বটকৃষ্ণ পালের বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো। পাল বাড়িতে মা জগদ্ধাত্রীর পুজো হয় শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে। পুজোর জন্য বাড়িতেই নাড়ু, সুজি, মিষ্টি তৈরি করেন বাড়ির মহিলারা। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। মহা আয়োজনে পুজো চলছে বেনিয়াটোলা বটকৃষ্ণ পালের বাড়িতে। এবছর ১২৩ বছরে পা দিল এই বাড়ির পুজো। ব্যস্ত বাড়িতে উপস্থিত সকলেই। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষআজ থেকে একশ বছর আগের কথা। বেনিয়াটোলা স্ট্রিটের এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন ওষুধ ব্যবসায়ী বটকৃষ্ণ পাল। আজন্ম ধর্মপ্রাণ এই ব্যক্তির হাত ধরেই শুরু হয়েছিল পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ পালবাড়ির জগদ্ধাত্রীর বিশেষত্ব, এখানে প্রতিমার আগে বাড়িতে আসে বাহন সিংহ। সিংহের পিঠে মা দু’পা মুড়ে বাবু হয়ে বসে থাকেন। তার পাশে থাকে চার সখী। আগে প্রতিমার সাজসজ্জায় ঢাকা থেকে শিল্পী আনা হত। এখন সাজের দায়িত্বে কলকাতার শিল্পীরা। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ. নবমী তিথিতে কুমারী পুজো করা হয় এবাড়িতে। সেই নিয়মেও খামতি থাকে না। কুমারীকে সাজিয়ে তোলেন বাড়িয়ে মহিলারা। গায়ে ফুলের সাজ এবং অলঙ্কার দুইই থাকে। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষপাল বাড়ির তথ্যমতে সাধারণত দেবী মূর্তি এক পায়ে বাবু হয়ে বসে থাকেন। তবে এই বাড়িতে মা দুই পায়ে বাবু হয়ে অধিষ্ঠান করেন। বটকৃষ্ণ পাল মহাশয়ের স্ত্রী স্বপ্নে দেখেছিলেন এই মূর্তি। তারপর থেকে মায়ের এই রুপেই পুজো হয়। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষনবমী তিথিতে কুমারী পুজো শেষে হয় ধুনো পোড়া। বাড়ির মহিলারা সন্তানের মঙ্গলা কামনায় মায়ের সামনে বসে ধুনো পোড়ায়। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষএকদিনেই ষষ্ঠী থেকে দশমীর পূজা হয়ে যায় পাল বাড়িতে। নবমীর কুমারী পূজা হয় জাঁকজমকভাবে। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষপাল বাড়ির জগদ্ধাত্রী র আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মা জগদ্ধাত্রীর বাহন সিংয়ের শরীরের চুল ব্যবহার করা হয় না। তাঁর বদলে ব্যবহার হয় আকন্দ তুলো পড়ানো হয়। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ. ১৩০৭ বঙ্গাব্দ তথা ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে এই পুজো শুরু করেছিলেন বটকৃষ্ণ পাল। যা আজও এখানে পুরোনো রীতিনীতি মেনেই হয় হৈমন্তীকার আরাধনা। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ