Nabanna Abhijan: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে অভিযোগ আগেই তুলেছিল পুলিশ। এবার নবান্ন অভিযানে দিকে দিকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরির পরে আরও মারাত্মক দাবি করে বসল কলকাতা পুলিশ। শুধু তাই নয়, এদিন প্রায় শ'খানেক গ্রেফতারির তথ্য দেওয়ার পর আরও কড়া পদক্ষেপের কথাও সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হল পুলিশের তরফে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করে আইনভঙ্গকারদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়ে রাখলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার।
এদিন সাংবাদিকদের রাজ্য পুলিশের এই শীর্ষ কর্তা বলেন, "ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের অনুরোধ না মেনে ব্যারিকেড ভাঙা হয়। পুলিশকে রক্তাক্ত করা হয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাণ্ডব বললেও এটা কম বলা হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে অশান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েও পুলিশ ধৈর্য্য হারায়নি। ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা ফুটেজ দেখে বাকিদেরও চিহ্নিত করব। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এদিনের নবান্ন অভিযানের আহ্বান জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সে প্রসঙ্গে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে আন্দোলন। প্রকৃত ছাত্র সমাজ এই ধরনের অসভ্যতা করবে বলে আমাদের মনে হয় না। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে নেপথ্যে কোন শক্তির মদত ছিল? তিন ঘন্টা ধরে লাগাতার তাণ্ডব চলেছে। পুলিশকে মারধর করে জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে।"
এদিনের নবান্ন অভিযানে প্রাণনাশের আশঙ্কাও ছিল বলে এদিন জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। তাঁর কথায়, "অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। সেটা আমরা প্রতিহত করতে পেরেছি। আমরা যদি ২৫ জনকে গ্রেফতার না করতাম, তাহলে পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ হতে পারতো। মানুষের প্রাণহানিও হতে পারত।"