New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/PP-02-BJP-BRIGADE-07.jpg)
ছবি : পার্থ পাল
স্বাধীন ভারতে অসংখ্য সভা সমিতি এবং রাজনৈতিক উত্থান পতনের সাক্ষী থেকেছে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। সেই ঐতিহাসিক ব্রিগেডেই বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় এক নয়া নজির স্থাপিত হতে চলেছে। ব্রিগেডের ইতিহাসে এই প্রথম 'জার্মান হ্যাঙ্গারে'র ব্যবহার দেখা যাবে। ছবি : পার্থ পাল জানা যাচ্ছে, মাঠ জুড়ে মোট ১৮টি অ্যালুমিনিয়াম হ্যাঙ্গার টানানো হয়েছে। প্রবল গরমে সভায় আগত শ্রোতাদের ছায়ায় বসার ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ। হ্যাঙ্গার দিয়ে ঢাকা হবে ময়দানের ২৫ লক্ষ বর্গফুট। এ জন্য গেরুয়া তহবিল থেকে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ছবি : পার্থ পাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গে জোড়া সভা করবেন মোদী। প্রথমে শিলিগুড়ির সভায় যোগ দিয়ে তারপর কলকাতার ব্রিগেডে আসবেন নমো। ফলে, কলকাতার সভায় বঙ্গ বিজেপির মূল ভরসা দক্ষিণবঙ্গের কর্মীরাই। কিন্তু, গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের ভয়ে যদি কর্মীরা বিমুখ হন, সে ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়তে হবে রাজ্য নেতৃত্বকে। সে জন্যই এমন আগাম ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে। ছবি : পার্থ পাল মোদীর ব্রিগেডের সভায় থাকছে মোট ৩টি মঞ্চ। মূল মঞ্চে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা। পাশের মঞ্চগুলিতে থাকবেন বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। এছাড়া 'ডি জোনে' নিরাপত্তা বলয় তো থাকছেই। ছবি : পার্থ পাল বিজেপির ব্রিগেডে মানুষের ঢল নামবে বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই সভার জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছবি : পার্থ পাল বিজেপি বিরোধী দলগুলি এই হ্যাঙ্গার চমককে কৌশল হিসাবেই দেখছে। তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বিদ্রুপের সুরে বলেন, "এ তো সিনেমা হলের মতো ব্যবস্থা"। ছবি : পার্থ পাল বিজেপির সংগঠনের যা অবস্থা তাতে এত স্বল্প সময়ে একই দিনে রাজ্যের দুই এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর সভা ভরানো রীতিমতো কঠিন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এর উপর কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তেমন লোক না হলে, সম্মানহানি হবে মোদীর। ফলে, বেজায় চাপে পড়বেন রাজ্য নেতারা। আর তাই জার্মান হ্যাঙ্গারের শরণাপন্ন হয়ে কম জায়গায় বেশি ভিড় দেখানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। ছবি : পার্থ পাল