প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথমবার বেলুড় মঠে রাত্রিযাপন নরেন্দ্র মোদীর। শনিবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড় মঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোদী।
বাংলায় এসে 'উচ্ছ্বসিত' মোদী টুইট করে বলেন, "কলকাতায় অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে নৌকায় করে বেলুড় মঠের দিকে যাত্রা করছি। কী অসাধারণ দেখতে লাগছে রবীন্দ্র সেতুকে।"
দু' দিনের কলকাতা সফরে এসে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বেলুড় মঠে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। জলপথে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড়ে পৌঁছন।
মঠের আন্তর্জাতিক অতিথিশালার দোতলায় প্রধানমন্ত্রীর রাত্রিযাপনের বন্দোবস্ত করা হয়।
মিলেনিয়াম পার্ক থেকে জলপথে বেলুর মঠ পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মঠের সন্ন্যাসীরা।
জেটি থেকে মূল মন্দিরে গিয়ে বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ স্বামী শরণানন্দ মহারাজের সঙ্গে দেখা করে, তাঁর আশীর্বাদ নেন প্রধানমন্ত্রী।
কথা বলেন অন্যান্য প্রবীণ সন্ন্যাসীদের সঙ্গেও।
ঠাকুরের ভোগই নৈশভোজের মেনু ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ভোগে ছিল গোবিন্দভোগ চাল ও মুগডালের খিচুড়ি, পায়েস, ফল, মিষ্টি।
টুইটে মোদী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আমি উত্সাহিত৷ রামকৃষ্ণ মিশনে ভালো সময় কাটাবো৷ বেলুড়ে স্বামীজির জন্মজয়ন্তী চলছে৷ স্বামী আত্মস্থানন্দর অনুপস্থিতি বেদনাদায়ক৷ ওঁর কাছেই মানবসেবার দীক্ষা নিয়েছিলাম৷ বেলুড়মঠ সর্বদাই একটি বিশিষ্ট জায়গা৷'
ভোরে ঘুম থেকে উঠেই পুজো দিয়ে মঙ্গল আরতি দেখে বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। এর পরে যোগ দেন প্রার্থনা সভায়।
স্বামী বিবেকানন্দের ছবিতে মালা দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরমহংসকে নতমস্তকে প্রণাম করে পৌঁছে যান সভাস্থলে।
সভামঞ্চে করজোড়ে স্বামীজিকে স্মরণ করেন মোদী।
"বেলুড় মঠ তীর্থ যাত্রার চেয়ে কম নয়। আমার কাছে বেলুড়ে আসা মানেই ঘরে আসা। আমি ধন্য আমাকে এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে। স্বামীজির সংকল্পকে রূপায়ণের দ্বায়িত্ব আগামী প্রজন্মের। জনসেবাই জীবনের মূল মন্ত্র।"