
করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনই একমাত্র রাস্তা ছিল রাজ্যে সরকারের। সেই মতন কড়া নজরদারিতে সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আজই ছিল লকডাউনের মেয়াদের শেষ দিন। কিন্ত করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এখনই বিধিনিষেধ উঠছে না। গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে করোনার বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করা হলেও পয়লা জুলাই পর্যন্ত থাকছে নিষেধাজ্ঞা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। যা বুধবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে কার্যকর হবে। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খুলবে। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়েই খোলা হবে বেসরকারি অফিসও। বেসরকারি অফিস সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। নবান্নে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সকাল ৭টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা থাকবে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

গত একমাসের লোকডাউনের সময় সময় বাজার খোলা থাকছিলো ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। ১৬ তারিখ থেকে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অন্যান্য দোকান খোলা সম্ভব। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা হচ্ছে রেস্তরাঁ, হোটেল, বার। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যাবে শপিং মল। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে শপিং মল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

৩০ শতাংশের মানুষ একসঙ্গে শপিং মলে যেতে পারবেন না। সর্বক্ষেত্রেই কঠোরভাবে মানতে হবে করোনা বিধি। হোটেল, রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে কর্মরত প্রত্যেকের যেন টিকাকরণ হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। লোকাল ট্রেন, মেট্রো বা গণপরিবহণ চলাচলে ছাড় দেয়নি রাজ্য। স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

স্টেডিয়ামে খেলা হলেও দর্শক থাকতে পারবেন না। শুটিং ইউনিটে ৫০ জন সদস্য হাজির থাকতে পারবেন। প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে হবে। প্রাতঃভ্রমণের জন্য সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে। কিন্তু টিকার দু’টো ডোজ সম্পূর্ণ হলে তবেই ঢোকা যাবে পার্কে। বিয়েতে সর্বাধিক ৫০ জন হাজির থাকতে পারবেন। শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

বন্ধ থাকছে সামাজিক-রাজনৈতিক-দর্মীয় সহ সবধরণের জমায়েত। আগের মতোই ব্যাংক ১০টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা থাকবে। কাজের প্রয়োজনে যাঁদের প্রত্যেকদিন বেরোতে হচ্ছে তাঁদের জন্য নতুন একটি অ্যাপের মাধ্যমে-পাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাশন। এছাড়া আগের মতোই রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে অতি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে গাড়ি বা খুব জরুরি প্রয়োজনে কোনও ব্যক্তির রাস্তায় চলাচলে ছাড় থাকছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

এই দিকে ১৬ তারিখ জামাইষষ্ঠী। রেস্তরাঁ খোলার আশায় অনেক বেশ খুশি হয়েছেন। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শহরের নামী-দামী হোটেল-রেস্তরাঁগুলি। অনেকে আগে থেকে টেবিল বুকিং করেছেন। কিন্ত ৫০ শতাংশের বেশি লোকের জমায়েত নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন রেস্তরাঁ মালিকরা। দুপুরের ভুরিভোজ নয়, সন্ধে অথবা রাতের খাবারের জন্যই হচ্ছে বেশিরভাগ টেবিল বুকিং। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ