কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক
গতকাল জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে গিয়ে হাজির হান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে যেতে অনুরোধ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকছেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তবে শেষমেষ সেই বৈঠকও ভেস্তে যায়।
জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী
জুনিয়র ডাক্তাররা অপেক্ষা করেছিলেন বৈঠকের জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের জানান, বৈঠকের ভিডিও পর্ব সরকারিভাবে করা হবে। বৈঠকের মিনিটস তৈরি করে দেওয়া হবে এবং তাতে দু'পক্ষেরই সই থাকবে।
শেষমেষ আলোচনায় রাজি হন জুনিয়র ডাক্তাররা
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাইরে বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের জানান, তাঁরা শুধু মিনিটস দিতেই রাজি আছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরাও বৈঠকে বসতে রাজি, আলোচনা করে সমস্যা মেটাতে তাঁরা তৈরি।
বৈঠক হল না
পরে জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, এরপরেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, আজ আর বৈঠক হবে না। রাত ন'টা নাগাদ একে একে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা।
বৈঠক না হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর এই কথায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অনেকে কান্নাতেও ভেঙে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাঁরা এদিন ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁর বাড়ির সামনে অপেক্ষা করেছেন।
ক্ষোভ ডাক্তারদের
অঝোর ধারায় বৃষ্টিতে ভিজেও তাঁরা শুধুমাত্র বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সেই বৈঠকের পরিবেশ তৈরি হওয়ার পরেও শেষমেষ ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকরা।