-
এক সময় এই কলকাতা শহরে বাইরে থেকে আসা অনেক লোকদের জীবন জীবিকার সন্ধান দিয়েছিল। আপন করে নিয়েছিল সকলকে। এখন এই শহর থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে কত মানুষ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বন্ধ ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। সংক্রমণ এড়াতে একাধিক ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
যার প্রভাব পড়েছে রেলের সঙ্গে জড়িত জীবন জীবিকা নির্ভর মানুষদের। দুঃখ দুর্দশায় তাদের দিন কাটছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রোজগার বন্ধ হাওড়া আর শিয়ালদহ স্টেশনের কুলিদের। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
মহামারীর আগে পর্যন্ত একটা সময় শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া স্টেশন চত্বরে আসতেই লাল জামা পরা তিন-চারজন লোক হুমড়ি খেয়ে পরতো। সেই সব লাল জামা পরা লোকেদের এখন নেই কোনও ব্যস্ততা। যাত্রীদের বোঝা কাঁধে তুলেই কিছু টাকা রোজগার করে জীবন সংগ্রাম চালান স্টেশনের কুলিরা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
বহু বছর আগে থেকে ভিন রাজ্যে জীবিকার সন্ধানে এসে এই শহরকেই তারা নিজের করে নিয়েছিল। লকডাউনের পর থেকে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন সংগ্রাম যেন আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ ষ্টেশনের কুলিরা বেশীরভাগই উত্তর প্রদেশ অথবা বিহার রাজ্যের। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন হাওড়া ষ্টেশনের কুলি দিলীপ যাদব। তার কথায়, লকডাউনের আগে দিনে মোটামুটি চারশো পাঁচশো টাকা রোজগার ছিল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এখন দু-দিনে মিলে একশো টাকাও আয় হয়না। সীমিত সংখ্যার যে কয়েকটা দুরপাল্লার ট্রেন চলেছে তাতে যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। যাত্রীরা নিজেদের বোঝা নিজেরাই বয়ে নিয়ে যায়। মূলত দৈনিক রোজগারের উপর নির্ভর করেই তাঁরা দিন গুজরান করেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
কিন্তু কোনও কাজ না থাকায় দৈনন্দিন খাবারের টাকা জোগাড় করতেই প্রাণান্তকর অবস্থা তাঁদের। গত বছর থেকে করোনার জন্য রোজগার এমনই কমে গিয়েছে। হাওড়া ষ্টেশনের বেশিরভাগ কুলিদের কলকাতার বড় বাজারে গিয়ে মাল ওঠানো-নামানোর কাজ করতে হচ্ছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
সেখানেও মেরে কেটে ৫০-১০০ টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। কোনও কোনও দিন তাও হচ্ছে না। গতবারেও লকডাউনে একই সমস্যা হয়েছিল। ট্রেনের চাকা যেমন বন্ধ তেমনি বন্ধ কুলিদের ট্রলির চাকাও। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
ভোরবেলায় ট্রেনের আওয়াজে ঘুম ভাঙত। এখন ঘুমই আসে না দু’চোখে। স্টেশনে ট্রেনের শব্দও অনিয়মিত। তবু প্রতিদিনের অভ্যাসমতো সকাল হলেই এখনও ছুটে যাই স্টেশনে বলে জানান কুলি দীপক সাউ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
তিরিশ বছর আগে নিজের রাজ্যে ছেরে এই রাজ্যে এসেছিলেন তারপর স্টেশনেই নিজের ঘরবাড়ি। যা রোজগার হত তার থেকে কিছুটা নিজের হাত খরচ রেখে পুরোটাই পাঠিয়ে দিত নিজের বাড়িতে। লকডাউনের পর থেকে নিজেই দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
ঘরের ভিতরে অভাব, আর বাইরে করোনা রোগের আতঙ্ক। দিনের পর দিন লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভাগ্যে ভাল থাকলে কোন কোন দিন জুটে যায় শুকনো মুড়ি কিংবা চালের খুদ সিদ্ধ। শিয়ালদহ স্টেশনের কুলি রবি কুমার তার বক্তব্য, খড়ের চালের উপরে পলিথিন বিছিয়ে মাটির ঘরেই অল্প খেয়েই বেশ সুখেই ছিলাম। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
শরীরে জোর থাকতে ভাতের অভাব হবে, কোনও দিন ভাবিনি। এখন দিন দিন না খেয়ে শরীরটাই ভেঙ্গে যাচ্ছে। হাত বাড়িয়ে দিলেও লোকে ব্যাগপত্র দিতে চাই না। লোকে কাছে আসতে ভয় পায়। দেশজুড়ে এই আতঙ্কের শেষ হওয়ার দিন শুনছি। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
অনেকে কুলিগিরির পেশা ছেড়ে দিন মজুরি খাটছে। তবুও তারা আশা করছে, শীঘ্রই সব স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আবার ট্রেন ছুটবে, মাল ওঠানামা করবে, স্টেশন গমগম করবে, কেটে যাবে এই দুর্দিন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
