-
এই বছর সব কিছুরই যেন তাল কেটেছে। করোনা পরিস্থিতির জন্যে সবারই নাজেহাল অবস্থা। এ বছরের দুর্গাপূজাও যেন সব থেকে অন্য রকম। পরপর দুটি মলমাস পড়ে যাওয়ায় মহালয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপুজো। সব মিলিয়ে এ বছর করোনা আবহের মধ্যে দুর্গাপুজো অনেকটাই অন্যরকম। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
যারা বারোয়ারী পুজো দেখার থেকে বেশী বনেদী বাড়ি পুজো দেখতে ভালোবাসেন এই বছর তার কিছুই দেখা হয়ে ওঠেনি। কারণ কোভিড পরিস্থিতি কলকাতার বনেদী বাড়িগুলোতে বাইরের কেউকে এই বছর বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেনা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
আসলে কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজো মানেই কতশত ইতিহাস, ঐতিহ্যের এই সব পুজোয় লুকিয়ে রয়েছে কত গল্প। যদিও বনেদী বাড়ির পুজোগুলো কালের নিয়মে রং হারিয়েছে অনেক আগেই। করোনা সময় কালের অনেক আগে থেকে এই বনেদী বাড়ির পুজোগুলোর নিয়ম বদলেছে, বদলেছে বাড়িগুলোর চেহারাও। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
একটা সময় কলকাতার অনেক বনেদী বাড়ির পুজোর জৌলুস ছিল নজরকাড়া। বসতো গান এবং বাইজি নাচের আসর। এখন সেসব অতীত। পলেস্তারা খসা নোনা দেওয়াগুলো এখন মৃত্যুর দিন গুনছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
মধ্য কলকাতায় এমনই এক ঐতিহ্যের পুজো জানবাজারের রাণি রাসমণি দেবীর বাড়ির পুজো। কলকাতার এই বনেদি বাড়ির পুজো এবার ২৩১ তম বর্ষে পা দিল। ১৭৯০ সালে পুরনো কলকাতায় এই পুজো শুরু। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এখন দুর্গাপুজো মানেই বারোয়ারি পুজো। শহর, মফস্বলের ওলিতে গলিতে এখন শুধুই থিমের লড়াই। কিন্তু একটা সময় পুজো বলতে ছিল কিছু বনেদি বাড়ির পুজো। বারোয়ারি পুজোর ভিড়ে এখন কিছু জায়গায় টিকে আছে শতাব্দী প্রাচীন এই বনেদী বাড়ির পুজোগুলো। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
পটুয়াতলার ব্যানার্জি বাড়ির পুজো যাকে বেশীরভাগ মানুষ চেনে ময়ূর বাড়ির পুজো নামে। একটা সময় এই বাড়িতে প্রচুর ময়ূর পোষা হত তাই এই বাড়ির নাম দেওয়া হয়েছিল ময়ূর বাড়ি। এই বাড়ির বেনীমাধব বন্দোপাধ্যায় ছিলেন প্রথম বাঙালি এটর্নি । তার হাত ধরেই এই পুজোর সূত্রপাত হয়েছিল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
১৩১ বছরের এই পুজোর দায়িত্বে এখন তার বংশধরেরা। সৌভিক বন্দোপাধ্যায় এবং তার দাদারা মিলে এই পুজো করেন। কোভিড পরিস্থিতে এই বছর অনান্য আত্মিয়স্বজন কেউ আসেনি পুজোতে। একটা পুজোর রোশনায় সেজে ওঠা বাড়ি এই বছর পুরো নিস্তব্দ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
মধ্য কলকাতার অন্যতম প্রাচীন বনেদি পরিবার বসুমল্লিক বাড়ি। এই পরিবার, বাংলার অন্যতম সমাজ-সংস্কারক গোপীনাথ বসুর (পুরন্দর খাঁ) উত্তরপুরুষ। গোপীনাথ ছিলেন গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহর উজির। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
রাধানাথ বসুমল্লিক এর হাত ধরে এই বাড়িতে দুর্গাপূজার শুরু। স্বদেশি-আন্দোলন ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই পরিবার ও বাড়ির বিশেষ ভূমিকা আছে। ১৯০৫-এর ২৭ অক্টোবর, রবীন্দ্রনাথ এই বসুমল্লিক বাড়ির এই ঠাকুরদালানে এক ছাত্রসভায় বক্তৃতা দিয়ে গিয়েছেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এক সময়ে দুর্গাপুজো উপলক্ষে এখানে আঞ্চলিক ইতিহাস ও পারিবারিক নথিপত্রের প্রদর্শনী হত। রাধানাথ প্রতিষ্ঠিত আদি বাড়ির পুজোটি ছাড়াও ২২, রাধানাথ মল্লিক লেন এবং ৪৬ শ্রীগোপাল মল্লিক লেনে এই পরিবারের আরও দুটি শরিক-বাড়িতে এখনও দুর্গাপুজো হয়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
যদিও আগের তুলনায় এখন এই বাড়ির জৌলুস অনেক কমে গিয়েছে। বাড়িগুলোও ভগ্নপ্রায় দশা হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
উত্তরের বনেদি বাড়ির এই পুজোয় মা একা আসেন না, উমার সঙ্গে মর্ত্যে আসেন ভোলানাথ। সেই সঙ্গে এই বনেদি বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য এখানে মায়ের শান্তরূপ। হাতে নেই কোনও অস্ত্রসস্ত্র। বিডন স্ট্রিটের হেদুয়া মোড় থেকে ছোট স্কটিশ চার্চ স্কুলের দিকে হাঁটা লাগালে মিনিট দশেকের পথ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ -
বনেদিয়ানা আর উত্তর কলকাতার রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে পেল্লাই সাইজের ভোলানাথ ধাম দত্ত বাড়ি। এবছর এই বাড়ির পুজো পা দিল ১১৬ তম বর্ষে। বাড়ির ভিতর ঢুকলে মুহূর্তেই মনে হবে, পৌঁছে গিয়েছেন অন্য জগতে। বড় বড় থাম, তার পিছনে সুন্দর এক ঠাকুর দালান। সেই ঠাকুর দালানেই উমার আরাধনা। যদিও এই বছর পুরনো কাঠামোতে ঠাকুর তৈরি হয়নি। অনান্যবারের থেকে অনেক হাল্কা করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
ভোলানাথ ধাম দত্ত বাড়ি নিয়ে কথিত আছে এরা চাঁদ সওদাগরের বংশধর। যদিও এসব বনেদী বাড়ির সাথে জড়িয়ে থাকা এসব ইতিহাস নতুন কোনও বিশয় নয়। করোনার জন্যে এই বনেদী বাড়ির যতটুকুই জাঁকজমকপূর্ণ পুজোগুলো ছিল তা আরও সাদাকালো ম্যারম্যরে হয়ে যাবে কেই বা আর জানতো। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
