New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/04/RIVER-COVER.jpg)
শান্ত নদীর ভাঙ্গা পারে দাঁড়িয়ে যেন কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না রাতারাতি নদী কি করে মানুষকে আশ্রয়হীন করে দিতে পারে। মালদহের সামসেরগঞ্জ এবং বৈষ্ণবনগরে নদীর পারের মানুষের সঙ্গে এমনটাই হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
নদীর পারের মানুষের জীবন ভাঙা আর গড়ার। একদিন আগেও যেখানে ছিল ধানের খেত, চাষের জমি, একতলা বাড়ি। পরেরদিন সেখান দিয়ে বয়ে চলে নদী। চোখের নিমেষে ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পরে বহু পরিবার। ঠাঁই হয় খোলা আকাশের নিচে। সম্বল বলতে থাকে মাথার উপর ত্রিপল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ শান্ত নদীর ভাঙা পাড়ে দাঁড়িয়ে যেন কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না রাতারাতি নদী কী করে মানুষকে আশ্রয়হীন করে দিতে পারে। সামশেরগঞ্জ এবং বৈষ্ণবনগরে নদীর পাড়ের মানুষের সঙ্গে এমনটাই হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ শান্ত গঙ্গার রুদ্র মূর্তিতে চাপা পড়ে গিয়েছে গৃহহীন মানুষের আর্তনাদ। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই অঞ্চলে কোনরকম ধর্মীয় মেরুকরণ করেনি নদী। মন্দির এবং মসজিদ দুটোই ভেঙে নিজের গতিপথ তৈরি করে নিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ বছরের পর বছর নদীর ভাঙনের জন্যে হাজার হাজার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। গত আট মাস আগে ভাঙনের জন্যে আশ্রয়হীন পড়েছেন বছর তিরিশের সীমা প্রামাণিক। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ মুর্শিদাবাদ সামশেরগঞ্জের হীরানন্দপুর এলাকায় একটি স্কুলে কিছুদিন মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছিল। ভোটের জন্যে সেই স্কুল থেকেও তাঁদের বিতাড়িত করে দেওয়া হয়। এখন রাস্তাতেই ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ ইতিমধ্যে ২০০ বিঘার চেয়েও বেশি চাষের জমি এবং বসত ভিটাও তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গা গর্ভে। ভাঙনের তীব্রতা এতটায় বেশি ছিল যে ঘরের জিনিসপত্র পর্যন্ত সরাতে পারেননি। ভেসে গিয়েছে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ বৈষ্ণবনগরের চিনাবাজারের বাসিন্দা ফরিদা খাতুন, তার বাবা-মা এবং তিন ভাইবোন-সহ ছয়জনের পরিবার এক কাঠা জমির (৭২০ বর্গফুট) উপর তিনটে ঘরের বাড়ি ছিল। ভাঙনে বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পর এখন ঠিকানা হয়েছে সরকারি একটি জমিতে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ পাতার ছাউনি দেওয়া ঘরেই এখন সবাই গাদাগাদি করে রয়েছেন। ঘরের ছেলেরা রোজগারের জন্যে বাইরের রাজ্যে চলে যেত। কিন্তু গত বছরের লকডাউনের পর থেকে এখন কাজ নেই। এই বছর কাজের জন্যে বাইরে যাওয়ার কথা হলেও করোনার জন্যে এখন তাও বন্ধ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ অর্থনৈতিকভাবে একদম ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন, বিজয় সিংহ। বৈষ্ণবনগর গ্রামে করোনা আবহেই চরম আতঙ্ক তৈরি করেছে নদী-ভাঙন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত বছরের শুরু থেকেই নদী-ভাঙন চলছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ প্রশাসনকে বহুবার ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, সব জেনেও ভাঙন মোকাবিলায় প্রশাসনিকস্তর থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত স্বপ্ন ভাঙছে কূলের মানুষের। নদী ভাঙনের ফলে এখন যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখতেই ভুলে গিয়েছেন নদীতীরের মানুষ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ কোনওমতে জীবন চলছে ঝুপড়ি ঘরে, রাস্তার ধারে, অন্যের আশ্রয়ে, নয়তো ভাড়া করা জায়গায়। ভাঙনের কারণে এখানকার শত শত পরিবার নিজের দেশেই উদ্বাস্তু। মাহিনুর বেগমের প্রথমে বাড়ি ছিল এখন বৈষ্ণবনগরে যেখান দিয়ে নদী বইছে তাঁর মাঝ বরাবর। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ প্রথমবার বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পর টাকা ধার দেনা করে নদী থেকে একটু দূরে সরে ঘর বানিয়েছেন। তাতেও রক্ষা হল না তাঁর বাড়ি গত বছর ভাঙনে সেই বাড়িও জলের তলাই তলিয়ে গেল। মাহিনুর বেগমের বাড়ি না হয় ভাঙা পড়েছে দুবার। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ নদীর পাড়ের এমনও মানুষ আছেন যাঁদের বাড়ি এর থেকে আরও বেশিবার জলে তলিয়ে গিয়েছে। পিছিয়ে যেতে যেতে জমি-বাড়ির সবটুকুই টেনে নিয়েছে নদী তার গর্ভে। যত দূর চোখ যাচ্ছে শুধু জল আর জল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই, মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও সেখানেই ছিল আস্ত একটা জনপদ। বসত-বাড়ি, পাকা রাস্তা, স্কুল, ডাক্তারখানা! আরও কত কী! সম্পূর্ণ একটা জনবসতি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সবটাই এখন জলের তলায়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ আরও স্পষ্ট করে বললে, নদীর গ্রাসে। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ভিটে-মাটি, কৃষি-জমি সব ইতিহাসের পাতায়। নদী ভাঙেনে মুছে গিয়েছে গোটা গ্রামের অস্তিত্ব। এই অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্যেই লড়াই করে যান নদী পাড়ের মানুষ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ