Advertisment
পশ্চিমবঙ্গ Photos

ইমেলের যুগে ডাকবাক্সরা ধুলায় মলিন

বাড়ির সদর দরজায় লেটারবক্স ঝোলানো থাকলেও এখন তেমন কোনও চিঠি আসে না। উত্তর কলকাতার বেশীরভাগ বাড়ির সামনে লেটারবক্সগুলো দেখা গেলেও, কিছু কিছুর ভগ্ন প্রায় দশা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ডাকবাক্স, wooden letter box, লেটারবক্স, letter box, postman, ডাকপিয়ন, post office, পোস্ট অফিস, Kolkata post office, জিপিও, Kolkata GPO, লেটার, GPO, চিঠি, Letter, কলকাতা, Kolkata,পশ্চিমবঙ্গ, West bengal, করোনা, Corona, কোভিড-১৯, Covid- 19

হারিয়ে গিয়েছে কালি, কলমের লেখা সেসব চিঠি। হারিয়ে যাচ্ছে হলুদ,লাল, নীল খামে প্রিয়জনকে লেখা সেই আবেগ। শহর থেকে অজপাড়াগাঁ সব জায়গায় পৌঁছে গেছে টেকনোলজি। যখন যার ইচ্ছে প্রিয়জনের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানে চিঠির বদলে ভরসা এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি। ফুরিয়ে গেছে ডাকঘরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো কিংবা টেলিগ্রাম পরিসেবার প্রয়োজনীয়তা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

  • হারিয়ে গিয়েছে কালি, কলমের লেখা সেসব চিঠি। হারিয়ে যাচ্ছে হলুদ,লাল, নীল খামে প্রিয়জনকে লেখা সেই আবেগ। শহর থেকে অজপাড়াগাঁ সব জায়গায় পৌঁছে গেছে টেকনোলজি। যখন যার ইচ্ছে প্রিয়জনের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানে চিঠির বদলে ভরসা এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি। ফুরিয়ে গেছে ডাকঘরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো কিংবা টেলিগ্রাম পরিসেবার প্রয়োজনীয়তা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • ই-মেল ইন্টারনেটের যুগে, এখন কেউ আগের মত চিঠি লেখে না। মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপের যুগে তরুণ-তরুণীরা স্কুল কলজের পরীক্ষা ছাড়া চিঠি-পত্র লেখা প্রায় ভুলেই গেছে। একটা সময় শহুরে পাড়াগুলোর ঘরের সদর দরজার সামনে পেরেক কিংবা তার দিয়ে ঝোলানো থাকত বাক্স। যার নাম লেটার বক্স। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • খামে ভরা চিঠি বা পোস্টকার্ড দুপুরে ডাকপিয়নরা এসে ফেলে দিয়ে যেত। বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে হাঁক দিত চিঠি। এমন ডাক শোনার সঙ্গেই চিঠি নেওয়ার জন্য দৌড়। সে সময় কতই না চিঠি এসে পৌঁছাত এসব ডাকবাক্সে। চাকরির পাওয়ার খবর থেকে লুকিয়ে লেখা প্রেমপত্র সবই থাকতো এখানে। ডাকবাক্সগুলোই ছিল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যেম। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • বর্তমানে হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইমেলের যুগে এই কাঠের বাক্সগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। এর প্রয়োজনীয়তা এখন অনেকটায় কমে গিয়েছে। তবুও এই শহরের এখনও অনেক বাড়ি সামনে পোস্টবক্স দেখা যায়। যেন কোনও এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দরজার সামনে ঝুলে রয়েছে। একাকিত্বের সঙ্গী শুধু মাঝসাঝে আসা ব্যাঙ্ক এবং অফিসিয়াল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • এ বছর করোনা মহামারীতে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। চোখের নিমেষে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর আস্তে আস্তে অনেক জিনিস যে হারিয়ে যাচ্ছিল তা আমাদের নজরে পরছিল না। ঠিক তেমনি বাড়ির সামনে ঝুলে থাকা লেটার বক্সের মতন। হাতে কলমে লেখা চিঠি না এলেও বাড়ির সামনে ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • বাড়ির সদর দরজায় লেটারবক্স ঝোলানো থাকলেও এখন তেমন কোনও চিঠি আসে না। উত্তর কলকাতার বেশীরভাগ বাড়ির সামনে লেটারবক্সগুলো দেখা গেলেও, কিছু কিছুর ভগ্ন প্রায় দশা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এসব লেটারবক্সেগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির বেড়াজালে ইচ্ছে থাকলেও চিঠি লেখা হয়ে ওঠেনা অনেকেরই। গুরুত্বপূর্ণ চিঠিগুলো যাতে চুরি না হয়ে যায়, লেটারবাক্সগুলোতে তালা লাগিয়ে রাখা হত। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • এখন গুরুত্বপূর্ণ সব চিঠির আদান-প্রদান বেশীর ভাগই ই-মেল মারফত হয়ে থাকায় এখন এসব লেটারবক্সে কেউ নজর দেয় না। লেটারবক্সে লেখা ঠিকানা দেখে পরিচিত মানুষের বাড়ি খুঁজে বের করা ছিল সেযুগে অনেকটাই সোজা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • দরজার রঙের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে অনেকে লেটারবক্স রাখতে পছন্দ করতেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেটারবক্স এখন অবলুপ্তির পথে। নতুন প্রজন্মের সকলে এই লেটার বক্সের কথা জানবে ইতিহাসের বইয়ের পাতায়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
kolkata
Advertisment