কলকাতায় জনবহুল এবং ব্যস্ত বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম হলো এই ফুলের বাজার। গঙ্গাতীরের মল্লিকঘাটের ঠিক পাশেই গড়ে ওঠা এই অস্থায়ী বাজারটি এশিয়ার বৃহত্তম ফুলের বাজার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শুধু দেশি-বিদেশি ফোটোগ্রাফাররাই নন, অজস্র পর্যটকও বিস্মিত চোখে পরখ করে যান এর প্রাণ এবং বিশালত্বকে। সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীনতম এই ফুলবাজার ১৬৪ বছর আগে ১৮৫৫ সালে রাজা রামমোহন মল্লিক এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ -
মল্লিকঘাটের কাছে হাওড়ার এই ফুল মার্কেটে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ জন ফুল বিক্রেতা আসেন ফুল বিক্রি করতে। খরিদ্দারের সংখ্যা অগণিত। এছাড়া থাকে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
হাওড়া ব্রিজের খুব কাছেই গড়ে ওঠা এই ফুল বাজারে ভোর হয় সূর্য ওঠার অনেক আগেই। রাত থাকতেই এখানে ফুল আসে ট্রেন ও ট্রাক বোঝাই হয়ে। আসেন খদ্দেররাও। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ যদিও এই মহামারির সময় পর্যটকদের একটু ভিড় কম। তবুও প্রতিদিনই ক্রেতা- বিক্রেতাদের সেখানে ঠাসাঠাসি ভিড়। জনসমাগমে জায়গাটি একেবারে গমগম করে। বেশীরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ এ রাজ্যে বিয়েবাড়ি থেকে নিত্যপূজা, সমস্ত ফুলের যোগানই দেয় এই বাজার। তাই ফুলের আসতে হচ্ছে অনেককে। তাই করোনা বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্যে সব মানুষকে প্রতিনিয়ত সচেতনত থাকার কথা বলা হচ্ছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ -
সেখানে হাওড়ার এই বৃহত্তম ফুল বাজারে বেশীর মানুষই অসচেতন। পশ্চিমবাংলায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর প্রধান জায়গা হিসেবে ধরা হয়েছিল বাজারগুলোকে। একসাথে অনেক মানুষ জমায়েত এর জন্যে খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
যদিও লকডাউনের কিছুদিন পর থেকে হাওড়ার এই ফুল বাজার খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে এখানে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
এই পরিস্থিতি আজকের দিন এতটুকও বদলায় নি। মানুষ মাস্ক না পরেই ঠাসাঠাসি ভিড়ে ঘোরাঘুরি করছেন। এবছরের শুরুতে সম্পূর্ণ লকডাউনের সময় ফুল চাষিরা জানিয়েছিলেন, বাগানে ফুল উপচে পড়ছে এই বছর। কিন্তু সেই ফুল তুলে কোনও লাভ হচ্ছে না। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ -
লকডাউনের কারণে মল্লিকঘাট-সহ কলকাতার সব ফুলের বাজার বন্ধ। তাই বিক্রিও হয়নি। এতে লোকসান হয়েছে প্রচুর। গাছ থেকে তুলেও সেই ফুল ফেলে দিতে হচ্ছে। এরপর আনলক প্রক্রিয়ায় ফুল বাজার ছাড় দেওয়া হয়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
প্রথমদিকে সমস্তরকম কোভিড বিধি নিষেধ মেনে বাজার চালু হলেও পরবর্তীতে অনেক তা উপেক্ষা করতে শুরু করেন। পুজোর সময় এবং বিয়ের মরশুমে ফুল বিক্রির ব্যাপক চাহিদা ছিল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
-
এরপর কিছুদিন মানুষের ভিড় কম হলেও, ডিসেম্বরের শেষে নতুন বছরের উদযাপনের জন্যে ফুলের চাহিদা আবার বাড়ছে। যার কারণে মানুষের ভিো বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
প্রসঙ্গত, কোভিড সংক্রমণের দিক থেকে কলকাতার থেকে এগিয়ে হাওড়া। দিনের ২৪ ঘণ্টায় এই বাজার খোলা থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ এসে জড়ো হন প্রতিদিন। এখন শীতের সময় কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে এই রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
