
ইউনিফর্ম একধরনের আবেগ। সকলের স্মৃতির সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে। এতদিন পর সেই পোশাক ঝকঝকে চকচকে করা অবশ্যই দরকার। একটু আয়রন করে নিতেই হবে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

এতদিন পর স্কুল খুলছে বলে কথা। তবে মায়ের মন সবসময় আশঙ্কা নিয়েই থাকে। ভয় পেলেও ছেলেকে সাহস জোগাতেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার নিজে হাতেই গুছিয়ে দিচ্ছেন তিনি। যতই হোক, স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাও প্রয়োজন। মনে ভয় তবে শিক্ষার সঙ্গে কোনও আপস নয় – এই ভাবনাতেই এগিয়ে যেতে রাজি মা কণা সেন। এখন ছেলের ওপরেই ভরসা নিজেকে সুরক্ষা রাখার। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

দশম শ্রেণিতে পড়ে সুজয়। সামনেই মাধ্যমিক। তবে এইবছর স্কুল খুলবে কিনা সেই নিয়ে বেজায় সন্দেহে ছিল সে। ভেবেছিল এখনও দেরি আছে বেশ কিছুদিন। পড়াশোনায় মন দিতে হবে এবার। একটু সিলেবাস ঝালিয়ে নিলে ক্ষতি কি? বছর দেড়েক পর আবার চেনা পথে হাঁটার পালা। অনেকদিন পরে বাড়ির দরজা টপকে স্কুলে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ নেহাত প্রয়োজন। হাত নাড়িয়ে মা আসছি বলার মধ্যেও রয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

রাস্তায় যাবার পথে নজর শুধুই বাইরের জগতে। একবার খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা নিজের সহপাঠীদের। পিঠে ব্যাগ, মুখে মাস্ক ফের স্কুলের পথে পা পড়ুয়ার।এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

পুনরায় স্কুলে ঢোকার আনন্দ। বন্ধুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলার সূচনা আরেকবার। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

একত্রে নয়। পরপর লাইন দিয়েই স্কুলে প্রবেশ করে সুজয় এবং তার সহপাঠীরা। নিয়ম মেনেই ছিল দূরত্ব। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

এই সেই সিড়ি! শেষ কবে যেন ওঠা হয়েছিল। স্মৃতির ভিড়ে আজ আবার চাঙ্গা স্কুল জীবন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

ক্লাসে সহপাঠীদের ভিড়ে খোশমেজাজে পড়ুয়ারা। এতদিন পর একসঙ্গে মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার সময়। জমে আছে কত গল্প কত কথা! উৎসাহের শেষ নেই। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

ক্লাসে হাজির সকলেই সঙ্গেই শিক্ষক মহাশয়। আদরের শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে আগের মতই পড়াতে ব্যস্ত তিনি। তবে বেঞ্চে বসার অনুমতি কেবল দুজনেরই। দূরত্ব সবসময় বহাল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

টিফিন ব্রেকে এখন কিন্তু খাবার ভাগ করে নেওয়া একেবারেই নয়। নিজের টিফিন নিজেকেই খেতে হবে। বন্ধুদের কোনও জিনিস ব্যবহার না করাই ভাল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

ফের অলস দুপুরে ক্লাসের গল্প। দিন পেরিয়ে দুপুর, আর প্রথমদিনের রেশ বেশ ভালই কেটেছে। তবুও সজাগ থাকা বাঞ্ছনীয়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

বাড়ি ফেরার পালা। ছুটির ঘণ্টা বেজে গেছে। আবার কালকের জন্য নয়া প্রস্তুতি। সঙ্গে পুরনো ছন্দে ফেরার নতুন করে উদ্যম। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ