ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যের পর এবার ভারত জোড়ো ন্যয় যাত্রা। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর 'ভারত জোড়ো' যাত্রার পর এটি রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় সফর। আজ থেকে শুরু হতে চলেছে কংগ্রেসের দ্বিতীয় জনসংযোগ যাত্রা। এর আগে দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে উত্তর ভারতকে জুড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার পূর্বের সঙ্গে পশ্চিম ভারতকে জোড়ার অভিযানে নামছেন কংগ্রেস নেতা। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর থেকেই শুরু হচ্ছে এই জনসংযোগ যাত্রা।
আজ মণিপুর থেকে শুরু রাহুলের ভারত ন্যয় যাত্রা। পৌঁছবেন ১৫ রাজ্যের ১০০ জেলায়। রাহুল-খড়গে সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। মণিপুর থেকে শুরু হচ্ছে এই জনসংযোগ যাত্রা। এরপর তা পৌঁছবে নাগাল্যান্ডে। সেখান থেকে এক এক করে অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় হয়ে রাহুল গান্ধী পদযাত্রা করতে আসবেন পশ্চিমবঙ্গে। এরপর বিহারে পৌঁছবেন। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট হয়ে মহারাষ্ট্রে পৌঁছবে ন্যয় যাত্রা। সেখানেই শেষ হবে এই যাত্রা।
মণিপুরের থাউবাল জেলা থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ১৫ টি রাজ্যের ১০০টি লোকসভা আসনের মধ্য দিয়ে যাবে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা আজ হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুর থেকে শুরু হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায়।
মণিপুরের থাউবাল জেলা থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ১৫টি রাজ্যের ১০০টি লোকসভা আসনের মধ্য দিয়ে যাবে। মণিপুর সরকার প্রাথমিকভাবে ইম্ফল থেকে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল কিন্তু এর জন্য অনুমোদন পাওয়া যায়নি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, রাহুল রবিবার সকাল ১১টায় ইম্ফল পৌঁছবেন এবং প্রথমে খংজোম ওয়ার মেমোরিয়ালে যাবেন। এর গুরুত্ব শুধু মণিপুরের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য।
দলের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, সফরে রাহুল বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে দেখা করবেন এবং জনসভা করবেন। রাহুল জনগণের কাছে গিয়ে জানাবেন কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি। ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা বাসে এবং পায়ে হেঁটে মোট ৬,৭১৩ পথ অতিক্রম করবে। মোট ৬৬দিনের যাত্রায় ১১০ জেলা, ১০০টি লোকসভা আসন এবং ৩৩৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যাবে এবং ২০ অথবা ২১ মার্চ মুম্বইয়ে শেষ হবে এই যাত্রা।
জয়রাম রমেশ যাত্রা প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী অমৃতকালের সোনার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কিন্তু বাস্তব চিত্র হল গত ১০ বছর ধরে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে'। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের অনেক মুখ্যমন্ত্রীও মণিপুরে পৌঁছবেন। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস উত্তর-পূর্বের ভোটারদের পাশাপাশি হিন্দি বলয়ের দিকে বিশেষ নজর রাখছে।