পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ক্ষোভ উগরে দিয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সেখানেই শেষ নয়। ঝাঁঝ বাড়িয়ে বঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি অর্জুন সিং, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের বিরুদ্ধে এফআইআর করে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন।
পদ্ম বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসের বহর ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটকে এবারের পুরভোটে ছাপিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রের উৎসবকে 'নির্লজ্জ্ প্রহসন' বলে দাবি করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, 'তৃণমূল সরকারের আমলে আর সন্ত্রাসমুক্ত ভোট হবে না এটা স্পষ্ট। আদালত দুর্নীতি, ভোট পরবর্তী হিংসায় পুলিশের উপর ভরসা করেনি। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, সেই আদালতই ভোটে নিরাপত্তার প্রশ্নে সেই পুলিসের উপরই ভরসা রাখল। ফলে গণতান্ত্রিকভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া কিছু যুবক-যুবতী বিপদের মুখে পড়লেন। বলা ভালো বিপদের মুখে তাদের ঠেলে দেওয়া হল।' আগামিতে ভোটের সন্ত্রাস সাংবিধানিক সংকট ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন- Live: পুরভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস-ভোটলুঠ, কাল বাংলা বনধ ডাকল বিজেপি
রবিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে এদিনের ১০৮ পুরসভার ভোটগ্রহণ বাতিলের আহেদন জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পুলিশের সামনে শাসক দল তৃণমূল একতরফা সন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
এদিনের ভোট নিয়ে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্ঝুন সিং বলেছেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছিলেন যে ভোটে সন্ত্রাস হবে না। পুলিশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এরপরও আজ বেলাগাম হিংসা ঘটল। ওনার তো লজ্জা হওয়া উচিত। প্রার্থী থেকে ভোটার মার খেয়েছে। আমি সাংসদ হয়ে নিজের এলাকায় ঘুরতে পারিনি। আমার উপর নজরদারি ছিল। আর তৃণমূলের যেসব বিধায়ক ড্রাগ ব়্যাকেট চালায় তারা বহাল তবিয়াতে ঘুরে বেরাল। ' সাংসদের কথায়, 'তিন বাঁদরের একটা দেখতো না, একটা শুনতো না , অন্যটা বলত না। দিদির আমলে রাজ্যে তিনটে বাঁদর। এরা হল পুলিশ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও গুন্ডা।'