Advertisment

নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে তোলপাড় সংসদ, বহিষ্কৃত ১৪ সাংসদ

তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করার পর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Parliament

পার্লামেন্ট

সংসদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য ১৪ জন সাংসদকে গোটা অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এনিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। টিএন প্রথাপন, হিবি ইডেন, জোতিমনি, রাম্য হরিদাস এবং ডিন কুরিয়াকোস-সহ ১৪ জন লোকসভা সাংসদ এবং একজন রাজ্যসভা সাংসদকে চলতি শীতকালীন অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Advertisment

বিরোধী দলগুলো বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সংসদের নিরাপত্তার ত্রুটির ইস্যুতে তোলপাড় সৃষ্টি করেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন। এদিকে, লোকসভার স্পিকার হট্টগোল সৃষ্টির অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ টিএন প্রথাপন, হিবি ইডেন, জোতিমনি, রাম্য হরিদাস এবং ডিন কুরিয়াকোসকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি কার্যক্রমের জন্য বরখাস্ত করেছেন।

এরপরও হট্টগোল থামেনি এবং আরও ৯ সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেনি বেহানান (কংগ্রেস), মহম্মদ জাভেদ (কংগ্রেস), পিআর নটরাজন (সিপিএম), কানিমোঝি (ডিএমকে), ভিকে শ্রীকন্দন (কংগ্রেস), কে সুব্রমনিয়ন, এসআর পার্থিবন (ডিএমকে), এস ভেঙ্কটেশন (সিপিএম) এবং মানিকম ঠাকুর (কংগ্রেস)।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী লোকসভায় বলেছেন, 'আমরা সকলেই একমত যে গতকালের (বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর) দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি লোকসভায় সাংসদদের নিরাপত্তায় গুরুতর ত্রুটি এবং এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে লোকসভার স্পিকারের নির্দেশে।'

তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে কোনও সদস্যের কাছ থেকে রাজনীতি আশা করা যায় না। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে। অতীতেও সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং তৎকালীন লোকসভা স্পিকারের নির্দেশ অনুযায়ী লোকসভার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।' সাংসদদের বরখাস্ত প্রসঙ্গে জেডিইউ সভাপতি লালন সিং বলেন, 'সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে আজ সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সরকার নিজের ব্যর্থতা আড়াল করছে।'

এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর বরখাস্ত নিয়ে রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলোর সাংসদরা তোলপাড় সৃষ্টি করেন। এরপর ৩ টে পর্যন্ত মুলতবি করা হয় রাজ্যসভার কার্যক্রম। কিন্তু, গন্ডগোল চলতে থাকায় সংসদের কার্যক্রম আবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

আজ সকালে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলগুলোর বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পরে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইটারে লিখেছেন, 'ভারতীয় দলগুলো দাবি করছে, গতকাল এবং পরে সংসদে যে অত্যন্ত গুরুতর এবং বিপজ্জনক নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে, তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উভয়কক্ষে বিশদ বিবৃতি দেওয়া উচিত। এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।'

আরও পড়ুন- নিরাপত্তায় মোড়া সংসদে হামলা চালানো মুখের ব্যাপার? তারপরও কীভাবে ঘটল

তিনি আরও বলেছেন, 'বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ, তিনি অনুপ্রবেশকারীদের ভিজিটর পাস ইস্যু করেছিলেন। এই সম্পূর্ণ ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলো মেনে নিতে মোদী সরকার অস্বীকার করার কারণে আজ সকালে লোকসভা ও রাজ্যসভার কার্যবিবরণী স্থগিত করা হয়।'

Parliament Derek O'Brien Loksabha
Advertisment