Tripura TMC: ২৪ ঘণ্টার টানাপোড়েনে ইতি। অবশেষে ত্রিপুরায় জামিন পেলেন দেবাংশু, জয়া-সহ তৃণমূলের ১৪ নেতাকর্মী। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন দিয়েছে আদালত। জামিন শুনানির সময় সিজেএম কোর্টে ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ দোলা সেন এবং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে কোর্টে যখন শুনানি চলছিল, তখন খোয়াই থানায় ঠায় বসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, কোর্টে এদিন তৃণমূল নেতাকর্মীদের হয়ে ১২ জন আইনজীবী সওয়াল করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮ জনকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতা থেকে। বাকি ৪ জন স্থানীয় আইনজীবী সওয়াল করেন দেবাংশু, জয়া, সুদীপের হয়ে। যদিও এদিন সকাল থেকে আদালত চত্বর এবং খোয়াই থানা এলাকা ছিল উত্তপ্ত। ধৃতদের মুক্তিদের দাবিতে থানার ওসির সঙ্গে বচসায় জড়ান অভিষেক, দোলা, ব্রাত্য, কুণালরা। অভিযোগ, সেই সময় বাইরে জমায়েত বাড়িয়েছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি শুনানির আগেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিজেএম আদালত চত্বরে। বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ভিড় জমান সেখানে। উত্তেজনা সামল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, আদালতে যাওয়ার পথে দলের নেতা সুবল ভৌমিক ও আইনজীবী সঞ্জয় বসুর গাড়িতে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, এদিন আগরতলা থেকে সোজাসুজি খোয়াই থানায় পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আগে থেকে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু ও দোলা সেন। থানায় পৌঁছতেই রবিবার অভিষেককে কেন্দ্র করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। স্লোগানধারীদের হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। মহামারি আইনে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে কেন থানার বাইরে এত ভিড় তা নিয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেন অভিষেক-সহ অন্যারা। ধৃত তিন নেতা কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্যও তদ্বির করতে দেখা যায় অভিষেককে। একসময় পুলিশ কর্তার সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
খোয়াই থানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেন, “কেন তিনজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হল। অভিযোগ পত্র দেখাতে হবে। না হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। পুলিশ সরকারি কাজ করছে, বিজেপির দালালি নয়।” পুলিশ তা দেখাতে অস্বীকার করলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথাকাটাটিতে জড়িয়ে পড়েন অভিষেক। ধৃতদের না ছাড়া পর্যন্ত তিনি খোয়াই থানাতেই ধর্নায় বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এই সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে একদল বিজেপি কর্মী, সমর্থক। এদের কেন মহামারি আইনে গ্রেফতার করা হবে না বা ভিড় সরানো হবে না, তা নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করতে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন