Advertisment

কংগ্রেস থেকে ইস্তফা শিখ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের

শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দিল্লি হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এবার কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিল সজ্জন। এ নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়েছে ওই কংগ্রেস নেতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sajjan kumar, সজ্জন কুমার

সজ্জন কুমার। ছবি: অমিত মেহরা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হাইকোর্টের রায়ের পরই এবার আত্মসমর্পণের ঢঙে নড়েচড়ে বসল সজ্জন কুমার। শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দিল্লি হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এবার কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিল সজ্জন। এ নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়েছে ওই কংগ্রেস নেতা। অবিলম্বে তার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে সজ্জন। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই খবর। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisment

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর শিখ বিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। যে ঘটনায় প্রথম থেকেই নাম জড়িয়েছিল সজ্জন কুমারের। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর এই মামলায় সজ্জনকে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি আদালত। একইসঙ্গে তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত। যাবজ্জীবন সাজা দিতে গিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়, আমৃত্যু কারাবাস ভোগ করতে হবে সজ্জনকে। হাইকোর্ট তাকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো, এবং জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।

আরও পড়ুন, ১৯৮৪ শিখহত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সজ্জন কুমারের

প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল বাকি পাঁচ অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলেও প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়েছিল সজ্জন। নিম্ন আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সিবিআই ও দাঙ্গার ক্ষতিগ্রস্তরা। শেষমেশ নীরপ্রীত কউর, জগদীশ কউর, জগশের কউরদের দৃঢ়তাতেই সজ্জনকে সাজা শোনাল আদালত। নীরপ্রীত, জগদীশ, জগশেররা শিখ বিরোধী দাঙ্গার শিকার হয়েছেন। এঁদের কারও বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, কারও স্বামী, সন্তানকে ওঁদের চোখের সামনে মারা হয়েছে। ৩৪ বছর পর বিচার মেলায় অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন ওঁরা।

CONGRESS national news
Advertisment