দ্রৌপদী মুর্মু না কি যশবন্ত সিনহা! রাষ্ট্রপতি পদে কাকে ভোট দেবেন সেই নিয়ে বিরোধী ঐক্যে আগেই ফাটল ধরেছিল। এবার নির্বাচনের দিন সেই ফাটল আরও চওড়া হল। ক্রস ভোটিং ঠেকাতে পারল না বিরোধী শিবির। এনসিপি এবং কংগ্রেসের দুজন করে বিধায়ক বিরোধী প্রার্থী যশবন্তকে ভোট না দিয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীকে দিলেন। নিজেদের বিবেকের কথা শুনে তাঁরা ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাটের দুই এনসিপি বিধায়ক এবং হরিয়ানা এবং ওড়িশার দুই কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। গুজরাটের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কান্ধাল জাদেজা দুবারের জনপ্রতিনিধি। কিন্তু ভোট দিলেন দ্রৌপদীকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সেকথা ঘোষণাও করলেন। তার পর দলের তরফে তাঁকে শোকজ করা হয়। সাফাই হিসাবে জাদেজা বলেছেন, "আমাকে গুজরাটে থাকতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই ভোটিংয়ের সময় স্বার্থপর হতে পারিনি।" এটাই প্রথম নয়, এর আগেও জাদেজা এনডিএ-র পক্ষে ক্রস ভোটিং করেন।
আরও পড়ুন দ্রৌপদী-ধনকড়ের পক্ষে জোর সওয়াল, তবে ভোট দলীয় প্রার্থীকেই, দাবি শিশিরের
এদিকে, রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কমলেশ সিং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে বলেন তিনি দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছেন। জানান, "দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলেকায় ৯ হাজারের মতো আদিবাসী ভোটার রয়েছে।" দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন হুসেইনাবাদের বিধায়ক কমলেশ।
অন্যদিকে, ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিম বিতর্কে জড়ান দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর। তাঁর দাবি, "দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপুত্রী। আমি একজন ওড়িয়া। তাই বিবেকের কথা শুনে দ্রৌপদীকেই ভোট দিয়েছি। অন্তরাত্মার কথা শুনতে বিধায়কদের বাধা দেওয়া যাবে না।"
আরও পড়ুন ‘আমি বিজেপির বিধায়ক নই’, ভোলবদল মুকুল রায়ের
হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায় কুলদীপ বিষ্ণোই গত মাসেই রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রস ভোট করেন। এবারও নিজের বিবেকের কথা শুনে ক্রস ভোটিং করেছেন। যশবন্তের বদলে দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছেন। দিল্লিতে বিষ্ণোই বলেন, "রাজ্যসভার মতো এবারও আমি অন্তরাত্মার কথা শুনে ভোট দিয়েছি।"