Advertisment

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র বড় ফ্যাক্টর, আরও বেশি আসন জয়ে মরিয়া পদ্মশিবির

কাকা এবং ভাইপোর মধ্যে যুদ্ধের ফলাফল কী হয় তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
maharashtra ncp crisis, maharashtra ncp crisis analysis, bjp maharashtra, maharashtra politics, maharashtra politics analysis, ajit pawar, sharad pawar, ajit pawar rebellion, devendra fadnavis, shiv sena, maharashtra news, indian express

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র বড় ফ্যাক্টর, আরও বেশি আসন জয়ে মরিয়া পদ্মশিবির

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রের মহানাটকে কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি বিরোধী ঐক্য। লোকসভা নির্বাচনে বড় জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির মহারাষ্ট্রে বড় জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেকথা বিলক্ষণ জানেন দলের নেতারা। আর সে কথা মাথায় রেখেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে অনেকটা বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisment

মহারাষ্ট্র নিয়ে যে বিজেপি মরিয়া সেকথা ধরা পড়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নভিসের গলাতেও। তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, “এবারের লোকসভা নির্বাচনে আমরা গতবারের চেয়ে বেশি আসন চাই। আমরা (সিএম) শিন্ডের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করব। আমরা দুবার তা করে দেখিয়েছি, তাই তৃতীয়বারও সম্ভব,”। বিজেপির জন্য ৩০০ আসন পার করার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র থেকে যতটা সম্ভব আসন জয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে অন্য রাজ্যে কিছু আসন কম পেলেও মহারাষ্ট্রে বড় জয় সেই ঘাটতিকে সহজেই মিটিয়ে দেবে।

২ রা জুলাই জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এর বিভাজন রাজ্যের রাজনীতিতে এক সংকটের সৃষ্টি করে। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির কংগ্রেসের (মহা বিকাশ আঘাড়ি)এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বিরোধী জোটের দুটি বৃহত্তম দলে ব্যাপক ভাঙন ঘটিয়েছে। সেদিক থেকে বিজেপির কাছে  আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকর ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের এই ভাঙন এমভিএ’ তথা বিরোধীদের জাতীয় ঐক্যকে একটা বড় ধাক্কা দিতে পেরেছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের একটা বড় অংশ মনে করছেন।

এছাড়াও, কাকা এবং ভাইপোর মধ্যে এনসিপি যুদ্ধের ফলাফল কী হয় তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। বিজেপি আশা করছে যে অজিত পাওয়ারের হাতেই এনসিপির রাশ থাকবে। সেই সঙ্গে তার হাত ধরে বিজেপি বেশ কয়েকটি আসনে সহজেই জয় ছিনিয়ে আনতে পারবে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পশ্চিমের ভোটে অজিত পাওয়ার তার ক্ষমতা সহজেই প্রদর্শন করতে পারবে। ইতিমধ্যেই এনসিপি কর্মী ও সমর্থকদের থেকে সহানুভূতি আদায়ে নেমে পড়েছেন অজিত। কাকার বিরুদ্ধে সরাসরি বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে শরদ পাওয়ার যে কোমর বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে তা একপ্রকার নিশ্চিত।

bjp
Advertisment