১২ টা ৩৩ মিনিটেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ দিবসের মঞ্চে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বক্তৃতা করছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মাঝপথে বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। এরপর ১২টা ৩৮ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানা যাচ্ছে, প্রতিবারের মতোই এবারও বক্তা তালিকায় নাম ছিল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু ২০১৯-এর শহিদ দিবসে তাঁদের আর বক্তব্য় রাখা হল না।
রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সুযোগই পেলেন না রবিবারের শহিদ দিবসের মঞ্চে। ফি বছর এই দুই প্রবীণ নেতা বক্তব্য রাখেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য না রাখতে পারায় দলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল থেকে এদিন দু'জন বক্তব্য রেখেছেন সভায়। তবে সুদীপ, সুব্রত সুযোগ না পেলেও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে এদিন বক্তব্য রেখেছেন দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্য রেখেছেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমও।
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতাই, বিধানসভায় আড়াইশোরও বেশি আসন পাবে তৃণমূল’
এদিন সঙ্গীত পর্ব শেষ হওয়ার পর বক্তা হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার। আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনিই ছিলেন প্রথম বক্তা। লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। একটিও আসন জোটেনি তৃণমূলের কপালে। সম্ভবত সে কারণেই সুকুমার হাঁসদাকে এই 'বিশেষ গুরুত্ব' বলে মনে করা হচ্ছে। সুকুমার হাঁসদা এদিন বাংলা ও আদিবাসী ভাষায় বলেন, "জঙ্গলমহলে উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।" প্রায় ৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন এই মন্ত্রী। এরপর বলতে ওঠেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাং। তিনি নেপালী ও বাংলায় বক্তব্য রাখেন। এরপরই মাইক্রোফোন ধরেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- মমতার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অনুপস্থিত কোন কোন তারকা?
ফিরহাদের পরই বক্তা হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার। প্রথম পর্যায়ে যখন তৃণমূলে কোণঠাসা মুকুল রায়, তখন মুকুল রায়কে সর্বদা সমর্থন যুগিয়েছিলেন এই শিউলি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন একুশের মঞ্চে শিউলির সুযোগ পাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাছাড়া, মেদিনীপুরের রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর মুখ শিউলি সাহার ৫ মিনিট (বক্তব্য রাখার) সময়সীমা দেখেও অনেক হিসাবনিকেশের আঁচ পাচ্ছে রাজনীতির কুশীলবরা। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী বক্তৃতা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে আসার পরপরই নিজের বক্তব্যে ইতি টানেন শুভেন্দু। সুকুমার হাঁসদা ও শিউলি সাহা মোট ১১ মিনিট বক্তৃতা দিলেও এক মিনিটও সময় পাননি তৃণমূলের প্রবীণ দুই নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।