অধিবেশনের কাজে বাধাদানের অভিযোগে সোমবার লোকসভার ৩৩ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও সেই ধারা অব্যহত। এ দিন দুপুরে লোকসভার আরও ৪৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী থারুর, কীর্তি চিদম্বরম ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়রা।
গতকাল ৭৮ জন সহ শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার পর্যন্ত সংসদে মোট ৯২ জন বিরোধী সাসংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এদিন নতুন করে ৪৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার ফলে মোট সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪১ জন।
বরখাস্ত হওয়ার পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যা বলেছেন, 'পাঁচবারের সাংসদ আমি, এই প্রথমবার বরখাস্ত হলাম। আসলে বিরোধী শূন্য সংসদ করে মোদী সরকার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। বিবৃতি না দিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা অনঅভিপ্রেত।'
মঙ্গলবার শুরু থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ-স্লোগান দেখাতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। শেষ বেলা ১২টা পর্যন্ত লোকসভা এবং মুলতুবি ঘোষণা রাখা হয়। গতকাল সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা এ দিন সংসদের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের আরেকটি অংশ পার্লামেন্টের গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভে যোগ দেন রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
সংসদে স্মোক-বম্ব ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকেই উত্তাল দেশ। সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব তুলছেন বিরোধীরা। সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধী সাংসদরা। সংসদ কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বিবৃতি দাবি করছেন বিরোধী দলের সাসংসদরা। এমনকী সংসদে এই নিয়ে আলোচনার দাবি জানান তাঁরা। কিন্তু শাসক শিবির তাতে কর্ণপাত করেনি। যার প্রতিবাদেই গত শুক্রবার থেকেই সংসদে হইচই বাঁধাচ্ছেন বিরোধী দলের সাসংসদরা। এতেই সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশনে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ শাসক এনডিএ জোটের। লোকসভার স্পিকার বা রাজ্যাসভার চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারিতে কাজ হয়নি। যার জেরেই এই সাসপেনশনের মত পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।