লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও নজিরবিহীন ঘটনা। অধিবেশনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যসভার ৪৫ জন বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা হল। শীতকালীন অধিবেশনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
এর আগে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় ৩৩ জন বিরোধী সাংসদকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে ১৫ মিনিটের জন্য সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরও পরিস্থিতির বদল হয়নি। ফের তপ্ত হয় লোকসভা। সেই সময়ই অধীর চৌধুরী, সৌগত রায় সহ বিরোধী ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। সাম্প্রতিক সময়ে এক সঙ্গে এত জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার এই ঘোষণা করেন। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময় পর্যন্ত ৩০ জনকে বরখাস্ত করা হলেও, তিনজনের স্থগিতাদেশের সময়কাল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এঁরা হলেন কে জয়কুমার, বিজয় বসন্ত এবং আবদুল খালেক।
আরও পড়ুন- ‘আমি ভাগ্যবান’, দিল্লিতে দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার, কেন?
এ দিন রাজ্যসভায় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল ২০২৩ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (সংশোধন) বিল পাস করেছে। দু'টি বিল পুদুচেরি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভায় আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারীদের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণকে সচল করতে চায়। এসবের মাঝেই সোমবার রাজ্যসভায় বিশৃঙ্খল চৈরি হয়, যার ফলে দ্রুত মুলতুবি হয়ে উচ্চ কক্ষের অধিবেশন। বিরোধী সাংসদরা লোকসভায় 'বিজেপি জাওয়াব দো, সদন সে ভাগনা ব্যান্ড করো' (বিজেপি, আমাদের জবাব দাও, সংসদ থেকে পালানো বন্ধ কর) স্লোগান দেয়। এরপরই অধিবেশন ভুন্ডুলের চেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ৪৫ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।