পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার মধ্যে একটি প্রতিশ্রুতি সবার ক্ষেত্রেই কমন। তা হল, এলপিজি ভর্তুকির প্রতিশ্রুতি। যা মহিলা ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর, সেকথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক কোটিরও বেশি যোগ্য পরিবারকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে, 'মেহেঙ্গাই রাহাত (মুদ্রাস্ফীতি ত্রাণ)' শিবিরের মাধ্যমে রাজস্থান সরকার প্রতি ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার ৫০০ টাকায় সরবরাহ করা শুরু করে।
মধ্যপ্রদেশে আবার আগস্টে কংগ্রেস ৫০০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁরা ৪৫০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার দেবেন। তেলেঙ্গানায়, ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ঘোষণা করেছেন যে ৪০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার দেবেন। তার আগে কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল যে ৫০০ টাকায় গ্যাসের সিলিন্ডার দেবে। মিজোরামে কংগ্রেস দরিদ্রতম পরিবারগুলোকে ৭৫০ টাকায় গ্যাসের সিলিন্ডার দেবে বলে ঘোষণা করেছে। বিজেপি অবশ্য মিজোরামে কোনও এলপিজি ভর্তুকির কথা ঘোষণা করেনি।
তবে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গত তিন মাসে উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে দুটি অতিরিক্ত এলপিজি ভর্তুকির কথা ঘোষণা করেছিল। নতুন এলপিজি সংযোগে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে বিজেপি সরকার উজ্জ্বলা প্রকল্পটি চালু করেছিল। তারপর থেকে, এই প্রকল্পে ৯.৬৫ কোটি পরিবারকে এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আগস্টে, নরেন্দ্র মোদীর সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমিয়েছে। দিল্লিতে যেখানে একটি সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ৯০৩ টাকা, সেখানে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে ৭০৩ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আগামীকালই হাজিরা, এথিক্স কমিটির সামনে বড় দাবি মহুয়ার
গত অক্টোবরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করেছে।লিজ ম্যাথিউ তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, বিজেপির গ্রাউন্ড রিপোর্ট এবং সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধিতে মহিলা ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার বাড়ানো হয়েছে ভর্তুকির পরিমাণ।