Goa Poll 2022: যৌন নিগ্রহ-কাণ্ডে এবার জড়িয়ে গেলেন বিজেপি শাসিত গোয়ার এক ক্যাবিনেট মন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরিশ চোদনকরের অভিযোগ, ‘নিজের পদ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক মন্ত্রী যৌন নির্যাতন করেছেন। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সেই অভিযুক্ত মন্ত্রীর নাম আমরা প্রকাশ্যে আনছি না।‘
তিনি বলেন, ’২০ দিন আগে দু’জন একটি ট্যাপ এনে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। সেই ট্যাপেই অভিযুক্ত মন্ত্রীর কুকীর্তি রেকর্ড করা। দুই পরিবার এই ঘটনার কেন্দ্রে। একটি অভিযুক্ত আর একটি নিগৃহীত পরিবার। আমরা সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ১৫ দিন সময় দিলাম, সেই মন্ত্রীকে অবিলম্বে ক্যাবিনেট থেকে বরখাস্ত করা হোক। পুরো সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়ভার এখন সরকারের কোর্টে।‘
এদিকে, কিছুতেই জমতে পারছে না বিজেপি-বিরোধী বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিরোধী এই জোটের আওয়াজ তুলেছেন। সাক্ষাৎ করেছেন সোনিয়া-রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী দলগুলির প্রধানদের সঙ্গে। গত সংসদ অধিবেশনে নানা ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরোধীতায় কংগ্রেস-তৃণমূল সাংসদদের অধিবেশন কক্ষে একযোগে সরব হতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, এরপর পরিস্থিতি পাল্টেছে। গত কয়েক মাস ধরে নাগাড়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছে জোড়া-ফুল বাহিনী। ত্রিপুরা থেকে গোয়া, মেঘালয় থেকে হরিয়ানা- কংগ্রেস ভাঙছে। নেতারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ফলে এই দুই দলের সম্পর্ক এখন তলানীতে। এর ছায়া আসন্ন সংসদের বাদল অধিবেশেও নজরে পড়তে পারে।
তৃণমূল নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছেন যে, সংসদ অধিবেশনের আগে কংগ্রেসের ডাকা কোনও বৈঠকেই দলীয় সাংসদরা হাজির থাকবে। এমনকী অধিবেশন কক্ষেও কংগ্রেস-তৃণমূল শিবিরের সমন্বয় সাধন হবে না।
বাংলার শাসক শিবিরের মতে, দেশজুড়ে কংগ্রেস ক্ষীণ শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। বিজেপি বিরোধী কোনও আন্দোলনই সংগঠিত করতে ব্যর্থ। ফলে, হাত শিবিরের নেতৃত্বে বিরোধী জোটের বিষয়টি অলীক স্বপ্নের মতো। প্রায় শক্তিহীন একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে বিরোধী বৈঠকে হাজির হওয়া ভুল বার্তার শামিল বলেই মনে করছে তৃণমূল। নেতৃত্বের সাফ দাবি, আরজেডি, শিবসেনা, ডিএমকে কংগ্রেসের সবযোগী। ফলে তাদের সঙ্গে হাত শিবিরের সম্পর্ক এবং তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি পৃথক। মনে রাখতে হবে, কয়েক মাস আগেই বাংলার বিধানসভা ভোটে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়াই করছে তখন বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে মমতা সরকারের বিরোধীতায় নেমেছিল কংগ্রেস।
তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘কংগ্রেসের এখন শোচনীয় অবস্থা। মেঘালয়ে দল ভেঙেছে। গোয়ায় মাত্র চারজন বিধায়ক এখন কংগ্রেসের। পাঞ্জাবে হাত শিবিরের মধ্যে চরম মতভেদ রয়েছে। একই অবস্থা মধ্যপ্রদেশে। এই অবস্থায় ওরা আমাদের সঙ্গে কী আলোচনা করবে? ওদের সমন্বয় সাধনের কিছু নেই।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন