একুশের নির্বাচনে একের পর এক চমক। ভোটের কিছুদিন আগেই অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি জানিয়েছিলেন, আসন্ন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে তাঁর দল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন, এবার দল ছাড়লেন এই রাজ্যের মিম-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত জামিরুল হাসান। শুধু তাই নয়, নতুন দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ তৈরির পরিকল্পনার কথাও মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান তিনি।
জামিরুলের কথায়, একুশের নির্বাচনে লড়াইয়ের সমস্ত প্রস্তুতি নিলেও হঠাৎ করেই ওয়াইসি চুপ করে গিয়েছেন। কারণটা সকলের অজানা। এ রাজ্যের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহের বেশি, তবুও মিমের দলীয় নেতৃত্ব এখনও দিশাহীন। রাজ্যের নেতারা মানসিক প্রস্তুতি নিলেও শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই জামিরুল বলেন, "আমরা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ গঠন করতে চলেছি বাকি দলত্যাগীদের নিয়ে। এই বিধানসভা নির্বাচনে আমরা তৃণমূলকেই সমর্থন করব।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জামিরুল বলেন, "হায়দরাবাদের প্রাক্তন মেয়র তথা মিম-এর পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক মাজিদ হোসেনকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। ওঁনারা হায়দরাবাদ থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। বাংলার নেতৃত্বকে কিছু জানান না। আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এমন দলের সঙ্গে কাজ করতে রাজি নই। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালাব আমরা। কোনও বিকল্প নেই। তাই তৃণমূলকে এই নির্বাচনে সমর্থন করব। তৃণমূল তো দেশকে নষ্ট করছে না।"
তবে এই নির্বাচনে নতুন দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগের তরফে কোনও প্রার্থী দেবেন না জামিরুল হাসান, এমনটাই জানান। আগামী পৌরসভা নির্বাচনেই তাঁরা বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দেবে। তিনি বলেন, "আমি আমার ৪-৫ হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নন্দীগ্রামে গিয়ে দিদির হয়ে কয়েকদিন কাজ করব। তৃণমূল না বললেও আমরা যাব। বিজেপিকে হারাতে যা করার আমরা করব।"
এদিকে, জামিরুল হাসানের দলত্যাগে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে মিম, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার জামিরুল বলেন, "জেলায় আমাদের সমস্ত সংগঠন এখন আমার সঙ্গেই রয়েছে। তাঁরা যোগাযোগ রাখছে। তাই নতুন দল তৈরি হবে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে ৩০ লক্ষ সদস্য করার। প্রত্যেককে সদস্য কার্ডও দেওয়া হবে। প্রতিটি বিধানসভা থেকে ১০ হাজার সদস্য তৈরি করব। তারপর লড়াই করব। এবার বাংলায় অন্য খেলা হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন