চলতি বছরের শেষেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। আর, সেই নির্বাচনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে উচিত শিক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস। ২০২০ সালে তিনি যেভাবে দল ভেঙেছিলেন, ২০২৩ সালে কংগ্রেসের কাছে তার জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন ৫২ বছর বয়সি জ্যোতিরাদিত্য। গোয়ালিয়র রাজপরিবারের এই উত্তরসূরিকে তাঁর নিজস্ব এলাকা গোয়ালিয়র-চম্বলেই কুপোকাত করতে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব।
২০০০ সালের মার্চে কমলনাথের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটেছিল। ১৫ মাস কাটানোর পরই পতন ঘটা সেই সরকার গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেছিল জ্যোতিরাদিত্যকে। কারণ, জ্যোতিরাদিত্য তাঁর অনুগত বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এই পতন কংগ্রেস খুব একটা সোজামনে গ্রহণ করতে পারেনি। কারণে, তার আগে ১৫ বছর মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতার বাইরে ছিল। তার পর ২০১৮ সালে সামান্য ব্যবধানে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল।
বর্তমানে চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার সম্পর্কে জনতার মধ্যে প্রশাসন বিরোধিতার ভাবনা জন্ম নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাকে ঘিরে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সেই উত্তাপ বেড়েছে গত কয়েক মাসে। এই কয়েক মাসে দুই সিন্ধিয়া অনুগত-সহ তিন বিজেপি নেতা দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মোদীর অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে প্রভাবিত আপ, দূরত্ব বাড়ছে বিরোধীদের সঙ্গে?
শুধু তাই নয়, মার্চ মাসে কংগ্রেসে যোগদান করে বিজেপি নেতা যাদবেন্দ্র সিং যাদব সিন্ধিয়াকে নিশানা করেছেন। ১৪ জুন, শিবপুরীর বিজেপি নেতা বৈজনাথ সিং যাদব, সিন্ধিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আর, ভোপালে ৭০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির শিবপুরী জেলার প্রাক্তন সহ-সভাপতি এবং সিন্ধিয়া অনুগত রাকেশকুমার গুপ্ত ২৬ জুন একই রাস্তা নিয়েছেন। তিনিও একটি বিশাল গাড়ির কনভয় নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এই সব নেতাদের সঙ্গেই তাঁদের বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এই সব কর্মী ও সমর্থকরা বিজেপির নানা পদে ছিলেন।