পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে বিপর্যস্ত বিজেপি। অযোধ্যা, বারানসী, মথুরার মতো জেলায় শাসক গেরুয়া শিবিরের থেকে অনেক এগিয়ে সপা। এবার সেই ট্রেন্ডের পক্ষেই কি সরযূর তীর? অযোধ্যার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন অন্তত তেমন ইঙ্গিত। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে এ বার এক ইসলামি ধর্মগুরুকেই গ্রাম প্রধান নির্বাচিত করলেন ভোটাররা।
অযোধ্যা বিধানসভা কেন্দ্রের রুদৌলী তহসিলের অন্তর্গত রাজনপুরের ঘটনা। ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে, ৬০০ ভোটের মধ্যে ২০০ পেয়ে পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হলেন স্থানীয় ইসলামি ধর্মগুরু হাফিজ আজিমউদ্দিন। নিজের জয়কে ইদের উপহার হিসেবেই দেখছেন হাফিজ। একই সঙ্গে এই নির্বাচনকে শান্তি এবং সৌভ্রাত্বের বার্তা হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রাও।
পেশায় কৃষক হাফিজ মূলত দানাশস্য, সব্জি এবং ফল চাষ করেন। উত্তরাধিকার সূত্রে ৫০ বিঘে জমি রয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও ইসলামি মাদ্রাসা থেকে ডিগ্রি রয়েছে। মাদ্রাসায় ১০ বছর শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা গিরীশ রাওয়ত বলেন, ‘এটা একটা ছোট নির্বাচন হলেও, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই ফুটে উঠেছে ফলাফলে।’ শেখর শাহু নামের অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা ধর্মের নামে ভোট দিইনি। নিজেদের জন্য কী ভাল, তা মাথায় রেখেই ভোট দিয়েছি। আমরা মনে প্রাণে হিন্দু। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শই যে আমাদের আদর্শ, তা এই নির্বাচনেই স্পষ্ট।’
বিজেপি-র শাসনকালে হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশ যদি হিন্দুত্বের প্রভাব সবচেয়ে বেড়ে গিয়ে থাকে, তবে অযোধ্যা তার ভরকেন্দ্র। সেখানে ছোট হলেও এই পরিবর্তন আগামী দিনে রাজ্যের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।