কেন্দ্রীয় অমিত শাহ নাকি নিখোঁজ! এই দাবি করে দিল্লি পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়রি দায়ের হল। এই উদ্যোগের পিছনে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআই। এই ছাত্র শাখার সাধারণ সম্পাদক নগেশ কারিয়াপ্পার বক্তব্য, ‘দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে রাজনীতিকদের উচিত নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করা। পালিয়ে যাওয়া নয়।‘
একই ভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে রোজই আক্রমণ করছেন রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার তিনি টুইটারে লিখলেন, ‘দেশে অক্সিজেন, টিকা, ওষুধের মতো নিখোঁজ প্রধানমন্ত্রীও। শুধু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প, ওষুধের উপর জিএসটি, আর দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি।‘ হিন্দিতে টুইট করে এ ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন রাহুল।
অক্সিজেনের সরবরাহ থেকে টিকার বণ্টন প্রক্রিয়া, সব নিয়েই ক্রমাগত কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে চলেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি পরপর একাধিক টুইট করে কোভিড পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে মোদীকে তুলোধনা করেছেন বারবার। সুর চড়িয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও।
পাশাপাশি এনএসইউআই-র সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং মুখপাত্র লোকেশ চুঘ দাবি করেন, অমিত শাহের নামে নিখোঁজ-ডায়েরি করার পরই সংগঠনের দফতরে কারিয়াপ্পার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন দিল্লি পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘২০১৩ সাল পর্যন্ত নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে দেখা যেত রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। বিজেপি সরকারে আসার পর সব বদলে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর এই সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না এই অতিমারি-কালে।’’
অপরদিকে, রাহুল ছাড়াও কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এ দিন গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এমন সময় এল ভারতে যে গঙ্গায় দেহ ভেসে বেড়াচ্ছে, অথচ কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। লজ্জা!’’ তিনি উল্লেখ করেছেন উন্নাওয়ে বালিতে দেহ পোড়ানোর ঘটনাও।
এনএসইউআই বিবৃতিতে জানায়, ‘এই ভয়ঙ্কর অতিমারির সঙ্গে আমরা প্রত্যেকেই লড়াই করছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা সরকারকে পাশে চাই। এই সরকার তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই আমরা নিখোঁজ-ডায়রি করেছি। আমরা চাই, এই সরকার জনগণের উদ্দেশে বার্তা দিক।‘