Tripura Civic Polls: বিজেপির লাগাতার সন্ত্রাস। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের প্রচারে বাধা এবং পোস্টার-ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। আগরতলার পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগের নালিশ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব। আগরতলা পুরনিগমের ১o নম্বর ওয়ার্ডের ওই তৃণমূল প্রার্থীকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে এসপি অফিসের বাইরে নিয়ে আসেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। তারপর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পান্না দেবকে। যদিও, পরমুহূর্তেই জামিন পেয়ে যান এই তৃণমূল প্রার্থী।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ‘লাগাতার বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রচার করতে বাধা দিচ্ছে। এই বিষয়ে আগরতলা পূর্ব থানায় অভিযোগ জানালে তাঁরাও নিষ্ক্রিয়। বরং উলটে বলা হয়েছে, বাধা যখন পাচ্ছেন, প্রচার কেন করছেন।‘
এই ঘটনায় ত্রিপুরা তৃণমূল তীব্র নিন্দা করেছে। ভোটের আগে শাসক দলের লাগাতার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব তারা। দলীয় প্রার্থীকে চ্যাংদোলা করে বাইরে আনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’সুপ্রিম কোর্ট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পক্ষে রায় দিয়েছে। তবুও পুলিশ এভাবে গ্রেফতার করছে।‘
ত্রিপুরা তৃণমূলের অভিযোগ, ‘প্রচার চলাকালীন বিজেপির হার্মাদ বাহিনীর হাতে আক্রান্ত দলের মহিলা প্রার্থী পুলিশের দ্বারস্থ হলে তাঁকে জোর করে বের করে দেওয়া হলো। পুলিশ-প্রশাসনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে বিপ্লব দেব আর কতদিন দুর্গ রক্ষা করবেন?’
এদিকে, গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন ত্রিপুরার দুই মহিলা সাংবাদিক। সেই রাজ্যে নর্থ ত্রিপুরা এবং উদয়পুর জেলায় ধর্মীয় উত্তেজনা এবং ভাংচুরের খবর প্রচার করা হয়েছিল। এই খবর প্রচারের জেরে ত্রিপুরায় শান্তিভঙ্গ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এফআইআর করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা গিয়েছে, মুম্বইস্থিত এক সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধি এই দুই সাংবাদিক সমৃদ্ধি সকুনিয়া এবং স্বর্ণ ঝা। ত্রিপুরায় হিংসার খবর করতে উত্তর ত্রিপুরা এবং উদয়পুর গিয়েছিলেন তাঁরা।
রবিবার রাতে করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। ট্রানজিট সোমবার সকালে ত্রিপুরা এনে গোমতি জেলার বিশেষ আদালতের বিচারক শুভ্রা নাথের এজলাসে তোলা হয়। সেখান থেকেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে দুই জনের। পাশাপাশি অভিযুক্তদের পুলিশি তদন্তে সাহায্য করতে নির্দেশ দেন বিচারক।
এই প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আদালতে বিচারক পর্যবেক্ষণে জানান দুই জনের জামিন না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। পুলিশ ডাকলে হাজিরা দিতে হবে এবং ব্যক্তিগত ৭০ হাজার টাকার বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনও উল্লেখ এফআইআর-এ নেই।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন