কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে পাটনায় আম আদমি পার্টির অবস্থান অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে প্রভাবিত করতে পারেনি। উলটে, বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ ফ্রন্ট তৈরি করতে চাওয়া দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) তার সরকারের আইনি এজেন্ডায় পরিণত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন জল্পনা উসকে দেওয়ার একদিন পরে, আম আদমি পার্টি (আপ) জানিয়েছে যে তারা 'নীতিগতভাবে' এই বিতর্কিত পদক্ষেপকে সমর্থন করে। তবে, এটা নতুন কিছু নয়। আপ অবশ্য আগেও বলেছে যে তারা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে।
আর, 'নীতিগতভাবে' এই বিতর্কিত পদক্ষেপকে সমর্থন করে। একই দেশে বিভিন্ন লোকের জন্য বিভিন্ন আইন চলতে পারে না। সম্প্রতি, তাঁর দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। সেই বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় আম আদমি পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ পাঠক বলেছেন যে, 'আমরা নীতিগতভাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করি। অনুচ্ছেদ ৪৪ বলে যে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকা উচিত।'
সন্দীপ পাঠক আরও বলেছেন যে, 'সমস্ত ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করা উচিত। আর, এই ব্যাপারে একটি ঐকমত্য তৈরি করা উচিত। কিছু সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। কিছু বিষয় জাতির জন্য মৌলিক ব্যাপার। এই ধরনের বিষয়ে কর্তৃত্ববাদী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।'
আরও পড়ুন- কেন ফের বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স?
কংগ্রেস নেতাদের মতে, এটা হল আপের দু'মুখো নীতি। দিল্লি এবং পাঞ্জাবে কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্ব আপের সঙ্গে যে কোনও জোটের বিরোধী। কারণ, দিল্লি এবং পঞ্জাবে কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করেই আপের বৃদ্ধি ঘটেছে। দিল্লিতে কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আপ বলছে যে তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে জোটবদ্ধ হতে আগ্রহী। অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রায় সব প্রধান বিরোধী নেতার সঙ্গেই দেখা করেছেন। কিন্তু, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয়। এব্যাপারে সব পক্ষেরই নানা মত রয়েছে। কিন্তু, পাটনা সম্মেলনের পরে বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয় বৈঠকের সময়সূচি চূড়ান্ত করায় ব্যস্ত, তখন আপ-এর এই ধরনের বিবৃতি দেখে খুবই আশ্চর্য হয়েছি।'