দিল্লিতে 'ঝাড়ু ঝড়ের' দাপট, এমসিডি নির্বাচনে অনেকটাই পিছিয়ে পদ্মশিবির, অভিনন্দন মানের

দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকেই আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই চলছে। ট্রেণ্ড যা তাতে আম আদমি পার্টি মোট ২৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩০টি আসনের ফলাফল বেরিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, আপ ১০৬টি আসন জিতেছে এবং ২৬টিতে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে বিজেপি ৮৪টি আসন জিতেছে এবং ২০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস জিতেছে ৫টি আসনে এবং এগিয়ে আছে ৫টিতে। যেখানে নির্দল প্রার্থীরা জিতেছে ১টি আসনে এবং এগিয়ে রয়েছে ৩টিতে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গণনার জন্য ৪২টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। দিল্লি এমসিডি নির্বাচনে আপের-এর ‘ট্রান্সজেন্ডার’ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সুলতানপুরি থেকে জয়ী হয়েছেন আপ প্রার্থী ববি। প্রথমবারের মতো এমসিডিতে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের সদস্য থাকবে। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির একতা জাটভকে পরাজিত করেন। আম আদমি পার্টি প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জয়কে এবারে টিকিট না দিয়ে ববিকে প্রার্থী করেছিল আপ।

বিজেপি ও আপ জয়ের দাবি করছে

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান দিল্লি এমসিডি নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে বলেছেন, “আমরা এমসিডিতে ইতিহাস স্থাপন করতে চলেছি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি থেকে কংগ্রেসের ১৫ বছরের ক্ষমতাকে উপড়ে ফেলেছিলেন। এখন ১৫ বছরের পুরনো এমসিডিতেও ঝাড়ু ঝড়ের দাপট অব্যাহত। মানুষ ঘৃণার রাজনীতি পছন্দ করে না, তারা শিক্ষা, বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নতার জন্য ভোট দেয়। এখন ‘দিল্লি সাফ’ করা হবে।

দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা বলেছেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন এবং বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, দিল্লির মানুষ তার প্রতিশোধ নেবে। আমি দিল্লির জনগণকে বিশ্বাস করি। আমরা সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছি, AAP-এর দুর্নীতিকে প্রকাশ করেছি এবং তাদের ব্যর্থতাগুলিকে প্রকাশ করেছি। আমরা চতুর্থবারের মতো এমসিডিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছি।"

আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা বলেছেন, “বিজেপি দিল্লিকে আবর্জনায় ঢেকে দিয়েছে, তা সাফ করা হবে এবং এমসিডিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার গঠিত হবে। দিল্লির মানুষ আপকে কে এমসিডিতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাতে দিল্লি পরিষ্কার এবং সুন্দর হয়।"

একই সময়ে, বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা বলেন, “আমরা বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য কাজ করেছি এবং তা করোনার সময়ও অব্যাহত ছিল। বিজেপি কাজ করেছে। তাই আমরা বিশ্বাস করি পরবর্তী মেয়র হবেন বিজেপির। গতবারও বিজেপি সমীক্ষায় ৫০টি আসন পেয়েছিল, কিন্তু আমরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছিলাম।"