সম্পর্কে ঘুন ধরছিল বিগত কয়েক মাস ধরেই। দলের সঙ্গে বাড়ছিল দূরত্ব। অবশেষে স্বাধীনতা দিবসে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন আপ নেতা। নিতান্তই ব্যক্তিগত কারণে দল ছাড়ছেন জানালেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে দলের প্রতি ক্ষোভ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন আশুতোষ। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
টুইট করে এদিন সকালে আশুতোষ জানান, "প্রতিট যাত্রারই একটা শেষ থাকে। আমার সঙ্গে আপের সম্পর্ক খুব সুন্দর এবং বৈপ্লবিক ছিল। অবশেষে তাতেও ইতি টানতে হল একান্ত ব্যক্তিগত কারণে। দল থেকে আমি ইস্তফা দিয়েছি। দলের প্রত্যেক সদস্যকে আমার পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।"
আশুতোষের টুইটে কেজরিওয়ালের পাল্টা টুইট আসে কিছু ক্ষণের মধ্যেই, "তোমার ইস্তফা কী ভাবে মেনে নেব আমরা? এই জন্মে কখনোই তা হবে না"।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, রূপকথায় ফাটল ধরেছিল চলতি বছরের শুরুতেই। রাজ্যসভার সাংসদ পদের জন্য দল তাঁকে মনোনীত না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত আছেন এমন কারণ দেখিয়ে দলের কর্ম কাণ্ড থেকে শেষ ক'মাস নিজেকে সরিয়েই রেখেছিলেন আশুতোষ।
রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে দীর্ঘ ২৩ বছর সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই নেতা। ২০১৪ তে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ছিলেন IBN7 সংবাদ সংস্থার ম্যানেজিং এডিটর।
বিগত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর দল। রাজ্যের মুখ্য সচিবকে হেনস্থার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী সহ ১১জন আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জ শিট দিয়েছে পুলিশ। এরকম অবস্থায় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতার দলত্যাগে আপের ভাবমূর্তি কতটা অটুট থাকে, তা সময়ই বলবে।