আম আদমি পার্টি (আপ)-এর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকে বুধবার দিল্লি সরকারের বাতিল করা আবগারি নীতির মামলায় অর্থপাচারের তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছে। তার আগে ইডি সাংসদের বাসভবনে তল্লাশি চালায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এটা এই মামলার দ্বিতীয় হাই-প্রোফাইল গ্রেফতার। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে একই মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ ইডি আধিকারিকদের একটি দল নয়াদিল্লিতে সঞ্জয় সিংয়ের বাসভবনে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে।
Advertisment
গত বছর ডিসেম্বরে ইডি এই মামলার চার্জশিটে সঞ্জয় সিংয়ের নাম উল্লেখ করেছিল। অভিযোগ, ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরার বক্তব্যে সঞ্জয় সিংয়ের নাম পাওয়া গিয়েছে। ইডি দাবি করেছে, ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরা তাঁদের বলেছিলেন যে তিনি প্রাথমিকভাবে আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যার মাধ্যমে তিনি শেষ পর্যন্ত একটি রেস্তোরাঁয় পার্টি চলাকালীন মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। ইডি অভিযোগ করেছে, 'সঞ্জয় সিংয়ের অনুরোধে দিল্লিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আপের দলীয় তহবিলে দীনেশ অরোরা ৮২ লক্ষ টাকার চেক (মণীশ সিসোদিয়ার হাতে) দিয়েছিলেন।' দীনেশ অরোরাকে উদ্ধৃত করে ইডির অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে তিনি সিসোদিয়ার সঙ্গে 'পাঁচ-ছয় বার' কথা বলেছেন এবং সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
তদন্তের পরে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন ইডির এই তদন্ত অভিযান, 'একটি রাজনৈতিক দলের এক মরিয়া প্রচেষ্টা, যে দল পরের বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা লোকসভা নির্বাচনে হারতে চলেছে।' একইসঙ্গে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে ইডি গত বছরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে। সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে বহুবার তল্লাশি করেছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কিছুই খুঁজে পায়নি। সেই কথা মাথায় রেখেই কেজরিওয়ালের দাবি, ইডির এই তল্লাশি অভিযান স্রেফ লোকদেখানো।