দিল্লি বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব জিতেছে কেজরিওয়াল সরকার। ৫৪ জন বিধায়কের ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন আম আদমি পার্টি। এরপরই বিধানসভার অধিবেশন সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। আস্থা প্রস্তাবের আলোচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মদ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, 'আমাদের গ্রেফতার করা হলেও আমাদের চিন্তাধারাকে আটকানো যাবে না'।
এদিন আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৪ জন উপস্থিত ছিলেন আস্থা ভোটে। ধ্বনি ভোটে গৃহীত হয় ভোট। আর প্রত্যাশামতোই সেই ভোটে জয়ী হল কেজরিওয়ালের দল। কেজরিওয়াল এদিন আস্থা প্রস্তাবের ভাষণে বলেন,'মনীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং, জৈনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। তাও তারা জেলে। মানুষের ভালোবাসাই আমাদের সম্পদ। দেশে দুটি সরকার আছে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার, যারা কোনো কাজ করেনি। আর দিল্লিতে আমাদের সরকার'। প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন রাজ্যে দল ভাঙা হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার কাজ করছে বিজেপি'।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, "আমাদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষ তার সাক্ষী থেকেছে। মানুষ বোকা নয়, এখন সবর্ত্র আলোচনা চলছে কেজরিওয়ালকে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে জেলে পুরতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কেন কেন্দ্রের এই চক্রান্ত তা ফাঁস করে আপ সুপ্রিমো বলেন, আজ বিজেপির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আম আদমি পার্টি। বিজেপি যদি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ীও হয় ২০২৯-এর লোকসভা ভোটে আম আদমি পার্টি দেশকে বিজেপির হাত থেকে মুক্ত করবে। এটাই কেজরিওয়ালের গ্যরান্টি"।
আরও পড়ুন : < Sandeshkhali TMC Meeting: সন্দেশখালি নিয়ে এককদম এগিয়েও দু’কদম পিছল তৃণমূল! কী এমন হল? >
এর আগে শুক্রবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। দিল্লির কথিত আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে তলব করার পরেই তিনি এই আহ্বান জানান।২৭ জানুয়ারি আপ সুপ্রিমো অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি আপ সরকারকে পতনের চেষ্টায় সাতজন আপ বিধায়ককে ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে দল বদলের প্রস্তাব দিয়েছে। বিজেপি তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের এই দাবি "অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন"।
৩০ জানুয়ারি দিল্লি বিজেপি রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা, দিল্লি বিধানসভার বিরোধী নেতা রামবীর সিং বিধুরি এবং উত্তর পূর্ব দিল্লির সাংসদ মনোজ তিওয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তদন্তের দাবি জানিয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ৩ রা ফেব্রুয়ারি ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল অভিযোগের বিষয়ে নোটিশ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন।