এবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনে কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য়ের চেহারা দেখা যেতে পারে কি? পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি, এবং কলেজে ভর্তি কেলেঙ্কারি নিয়েই মূলত শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হবেন বিরোধীরা। এদিন হঠাৎ বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ঘরে ঢুঁ মারেন দিলীপ ঘোষ। কিছুক্ষণ দুজনের কথাবার্তা হয়। এরপর মান্নানের ঘরেই সুজন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষ খোশমেজাজে আড্ডাও দেন। সূত্রের খবর, শুধু আড্ডা নয়, বিধানসভার বাদল অধিবেশনের সময় তাঁরা যৌথভাবে কী ভূমিকা নেবেন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি কলেজে ভর্তি নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এইসব ইস্য়ু নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে বিরোধীরা সচেষ্ট হবেন, এটা স্বাভাবিক। সূত্রের খবর, বিধানসভায় সরকারকে কী ভাবে নাস্তানাবুদ করা যায় তা নিয়েই এদিন তিন বিরোধী দলনেতার মধ্য়ে আলোচনা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হানাহানি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবিও করতে পারে বাম ও কংগ্রেস। একই সঙ্গে তারা কলেজে ভর্তির দুর্নীতি নিয়েও আলোচনা চাইবে। বিজেপির তরফেও ওই সব বিষয় নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনার দাবি করা হবে বলে জানিয়েছেন দিলীপবাবু। লোকসভার ভোটের জোট নিয়ে ইতিমধ্য়ে কংগ্রেস দুভাগ হয়ে গেলেও বিধানভায় একযোগে আলোচনার দাবি রাখবে কংগ্রেস এবং সিপিএম, এমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে এদিনই তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘরে বৈঠক করেন কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক। আক্রুজ্জামান, মইনুল হক, সাবিনা ইয়াসমিন, আবু তাহের, সমর মুখোপাধ্য়ায় - এঁদের ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সভার মঞ্চে হাজির হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন বৈঠক থেকে বেরনোর সময় তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে মুখ খোলেননি পাঁচজনের কেউই। পার্থবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান। সূত্রের খবর, ২১ জুলাই ওই পাঁচজনের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা ওই দিন সভায় হাজির নাও থাকতে পারেন। এমনকী আপাতত কংগ্রেসেই থেকে যেতে পারেন বলেই মনে করেছেন কেউ কেউ।