New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/abhishek-1.jpg)
ফাইল ছবি।
কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফাইল ছবি।
কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় সংস্থারগুলোর ভূমিকা নিয়ে। পাচারের অভিযোগ সত্য হলে তার দায়ে কেন্দ্রর ঘাড়েই চাপিয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি।
টুইটবার্তায় কী লিখেছেন অভিষেক?
কয়লা পাচারকাণ্ডের কথা তুলে ধরে এদিন দুটো টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, 'কয়লা এবং সেই সংক্রান্ত সব সম্পদ কেন্দ্রের এক্তিয়ারে রয়েছে। সেগুলোর পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্বেও রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিজেপি নেতৃত্ব যদি মনে করে যে বেআি কয়লা পাচারের সঙ্গে তৃণমূল জড়িত তাহলে জাতীয় সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে যাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে কে তদন্ত করতে বাধা দিচ্ছে?'
পরবর্তী টুইটে তিনি লিখেছেন, 'কয়লামন্ত্রকের আধিকারিকরা তাঁদের বসেদের কথা শোনার চেয়ে তৃণমূলের কথা শুনছেন। এটা হাস্যকর। কাদের বোকা বানাচ্ছে বিজেপি।'
All coal assets fall directly under Centre & are guarded by the Central agencies.
If BJP thinks TMC leaders got money from those illegally operating the coal assets, then what’s stopping Centre from investigating all culprits who failed to manage these national assets? (1/2)— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 5, 2021
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, 'কয়লা দুর্নীতির টাকা সরাসরি যেত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সাংসদ হওয়ার পরই এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই কেলেঙ্কারির ৯০০ কোটি টাকা গিয়েছে ভাইপোর কাছে। ১০ বছর ধরে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর মদতে কয়লা দুর্নীতি হয়েছে। ৯০ থেকে ৯৫ জন পুলিশ আধিকারিক এর সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসারও এর সঙ্গে জড়িত।'
অভিষেকের এদিনের টুইট রবিবার শুভেন্দু-মালব্যদের সাংবাদিক বৈঠকে তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কয়লা পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে। ইস্টার্ন কোলফিল্ডের একাধিক আধিকারিক-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর জারি হয়েছে। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা ও তাঁর শ্যালিকা মেনকা গম্ভরকে জেরা করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেনকার স্বামী ও শ্বশুরকে।
এই মামলায় রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করে বলেন, 'কেলেঙ্কারির যে অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে কয়লামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন