'যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের কেন গ্রেফতার?' পুলিশকে প্রশ্ন অভিষেকের, খোয়াই থানায় তুলকালাম

'ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে', অভিযোগ তৃণমূলের সর্ববারতীয় সাধারণ সম্পাদক

'ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে', অভিযোগ তৃণমূলের সর্ববারতীয় সাধারণ সম্পাদক

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
abhishek banerjee argument with police in khowai PS

রবিবার সকালে খোয়াই থানায় বিতণ্ডায় জড়িয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।

উত্তপ্ত ত্রিপুরা। খোয়াই থানার সামনে ব্যাপক উত্তেজনা। আগরতলা থেকে এ দিন সোজাসুজি খোয়াই থানায় পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আগে থেকে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু ও দোলা সেন। থানায় পৌঁছতেই রবিবার অভিষেককে কেন্দ্র করে 'গো ব্যাক' স্লোগান ওঠে। স্লোগানধারীরা হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। মহামারি আইনে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে কেন থানার বাইরে এত ভিড় তা নিয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেন অভিষেক সহ অন্যান্যরা। ধৃত তিন নেতা কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্যও তদ্বির করতে দেখা যায় অভিষেককে। একসময় পুলিশ কর্তার সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

Advertisment

খোয়াই থানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেন, "কেন তিনজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হল। অভিযোগ পত্র দেখাতে হবে। না হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। পুলিশ সরকারি কাজ করছে, বিজেপির দালালি নয়।" পুলিশ তা দেখাতে অস্বীকার করলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথাকাটাটিতে জড়িয়ে পড়েন অভিষেক। ধৃতদের না ছাড়া পর্যন্ত তিনি খোয়াই থানাতেই ধর্নায় বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এই সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে একদল বিজেপি কর্মী, সমর্থক। এদের কেন মহামারি আইনে গ্রেফতার করা হবে না বা ভিড় সরানো হবে না তা নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করতে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

চড়া সুরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনও। ধৃত দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসুও।

Advertisment

এদিন আগরতলা পৌঁছেই বিজেপির বিপ্লব দেব সরকারের আমলে ত্রিপুরার গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "পারলে আটকাক রাজ্য প্রশাসন। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব। এক ছটাক জমি বিজেপিকে ছাড়া হবে না। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন। মানুষ আক্রান্ত। চ্যালেঞ্জ করলে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। আক্রান্তদের জেলে ঢোকানো হয়েছে। বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। ত্রিপুরায় আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে।"

এদিকে এদিন থানার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের ত্রিপুরার সভাপতি আশিসলাল সিং। প্রবল হইহট্টোগোলের মধ্যেই ধৃত তিন তৃণমূল নেতাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন