সংগঠনে পদ প্রাপ্তি ঘিরে বিরোধীদের নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০২৪ সালে তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি মোদীর সঙ্গে টক্কর নেবেন। আর এ রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব তুলে নেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল বিরোধীদের মনে এমন ধারণাই প্রকট। তবে বিরোধীদের এই ধারণা নস্যাৎ করেছেন অভিষেক। কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এদিন জানিয়েছেন, আগামী ২০ বছর মন্ত্রিত্ব চান না তিনি।
কী বলেছেন অভিষেক?
নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকেই আক্রমণের নিশানা করেছিলেন মোদী, শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির ছোট বড় নেতারা। আঙুল তোলা হয়েছিল পরিবারতন্ত্রের দিকে৷ ভোটে বিপুল সাফল্যের পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু তার পরেও সেই আক্রামণ থামেনি। অভিষেকের উত্তোরণের পিছনে পরিবারতন্ত্রের তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে৷
এ দিন সেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে অভিযোগের স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ পাল্টা পরিবারতন্ত্রের উদাহরণ তুলে বিজেপিকেই তুলোধনা করেন তিনি। বলেন,'ন্যাস্টির থেকে জায়নেস্টি ভালো।'
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: ‘এই তৃণমূল আগের থেকে আলাদা’, কারণ বাতলালেন অভিষেক
এরপরই পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপি নেতাদের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেছেন, 'কোনও পরিবার থেকেই একজনের বেশি রাজনীতিতে আসতে পারবেন না বা সরকারি পদে থাকতে পারবেন না, এমন শর্ত দিয়ে আইন প্রণয়ণ করুক কেন্দ্র৷ সেক্ষেত্রে সবার আগে আমিই পদত্যাগ করব৷'
আরও পড়ুন- দলবদলুদের নিয়ে বিরাট ঘোষণা অভিষেকের, চিন্তা বাড়ল শুভেন্দু-দিলীপদের?
নাম না করে অমিত শাহ ও পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারকেও নিশানা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, 'পরিবারতন্ত্র নিয়ে আপনারা কথা বলছেন? কারও ছেলে বিধায়ক, কারও ছেলে সাংসদ, কারও ছেলে মন্ত্রী৷ আপনারা এতো বিভ্রান্ত, চিন্তিত কেন? তাহলে যাঁদের অন্য দল ভেঙে নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কতজন পরিবারতন্ত্রের সুবিধা পেয়েছেন? আগে তাঁদের সরিয়ে দিন৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিসিসিআই-এর যুগ্ম সচিব একই পরিবারের৷'
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল সাধারণ সম্পাদ মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গ টানেন, বলেন, 'আমি একজন সাংসদ, কিন্তু আমি আগামী ২০ বছরে মন্ত্রী হতে চাই না৷ জয় শাহ কি প্রকাশ্যে বলতে পারবেন যে তিনি আগামী ২০ বছরে বিসিসিআই সভাপতি হতে চাই না৷ আমি বিনয়ের সঙ্গেই চ্যালেঞ্জ করছি।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন