একুশের ভোটের ফল বেরনোর অপেক্ষা ছিল মাত্র। ঘরওয়াপসি হতে শুরু হয়েছে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতাদের। এমনকী গেরুয়া শিবিরেরে বিধায়ক, সাংসদরাও দল বদল করছেন। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। কিন্তু, ঘরে ফেরাদের নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ রয়েছে। বুঝছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই সোমবার শ্যামনগরের সভায় দলের দরজা খোলার কথা বলেও ঢোক গিললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
শ্যামনগরের সভায় এ দিন স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত কয়েকদিন অন্যান্য সভার মতোই এ দিনও অভিষেকের দাবি, 'একবার দরজা খুললেই বাংলায় বিজেপি শেষ।' মুকুল থেকে অর্জুন- ইতিমধ্যেই পদ্ম থেকে জোড়া-ফুলে ভিড়েছেন। তাহলে অচিরেই কী আরও হেভিওয়েটরা তৃণমূলে নাম লেখানোর অপেক্ষায়?
ততক্ষণে সভায় উপস্থিক কর্মীদের একাংশ বলেতে শুরু করেছেন যে, 'দরজা বন্ধই থাক।' যা কানে যায় অভিষেকের। এবার পাল্টা অভিষেকই দলত্যাগীদের দলে ফেরানো উচিত হবে কিনা তা জানতে চেয়ে বলতে থাকেন, 'আপনারা কী চান? দরজা বন্ধ করে রাখব?' কর্মীদের সমবেত জবাব শুনে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, 'ঠিক আছে। দরজা বন্ধ করেই রাখব। দরজা খুলে দিলে তো ওদের দলটাই উঠে যাবে। খুঁজে পাওয়া যাবে না।'
পাশাপাশি অভিষেক এও বলেন যে, 'এমন এমন লোক লাইনে আছেন যদি নাম বলি, চারদিন পাঁচদিন ধরে টিভিতে টকশো শুরু হয়ে যাবে। আমি সেই তর্কে যাচ্ছি না।'
অর্থাৎ তৃণমূল একবার হ্যাং বললেই বঙ্গ বিজেপির বহু শীর্ষ পদাধিকারী তৃণমূলে আসতে মুখিয়ে রয়েছেন। যা কার্যত বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে অভিষেকের হুঁশিয়ারি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সভায় কর্মীদের মতামতকে নেতৃত্ব গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণেই স্পষ্ট হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নম্বর। আর দু নম্বর দলের কর্মীরা। আমি, আপনি সহ দলের সব নেতারাই দু নম্বরে।'