বাংলায় এসে 'রাজপুত্র'কে কটাক্ষ করেছেন। এর পাশাপাশি অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন নতুন স্লোগান 'আর, নয় অন্য়ায়'। ঘণ্টাখানেকের মধ্য়ে টুইটে অমিত শাহকে ধর্মান্ধতা ও ঘৃণার রাজনীতি নিয়ে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যদিও এদিন কলকাতার নানা জায়গায় অমিত শাহর সভার বিরোধিতা করে পথে নেমেছে বাম-কংগ্রেস সহ বিভিন্ন সংগঠন। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য় রাস্তায় নেমে কোনও প্রতিবাদের পথে যায়নি।
অমিত শাহর কলকাতায় জনসভা নিয়ে বামেরা আগেই হুমকি দিয়েছিল। পাল্টা হুমকি দেয় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বও। এদিন বিক্ষোভ হলেও অশান্তি দানা বাধেনি মহানগরে। পুলিশি পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। পার্কসার্কাস, ধর্মতলা, কলেজস্ট্রিট, দমদম এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেটে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
Rather than coming and preaching #Bengal @AmitShah you should have explained and apologised for failing to save more than 50 innocent lives in #DelhiViolence right under your nose.
Mr Shah, Bengal is better off without bigotry and hatred that BJP is trying to spread.
— Citizen Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) March 1, 2020
আরও পড়ুন: অপহরণের স্মৃতি উস্কে অমিত শাহের মঞ্চে কাঁদলেন রূপা
শহিদ মিনারের সভা থেকেই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার শুরু করে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সভাপতি। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপি যে এই রাজ্য় দখল করবে তা এদিন জোর গলায় দাবি করেন অমিত শাহ। তিনি এদিন বলেন, "কোনও রাজপুত্র নয়, বাংলার ভূমিপুত্রের হাতেই থাকবে শাসনভার।" রাজনৈতিক মহলের মতে এভাবে তিনি তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতিকে নাম না করে কটাক্ষ করেছেন। একইসঙ্গে 'আর নয় অন্য়ায়' এই স্লোগান তুলে ২০২১ বিধানসভা অভিযানে নামার নির্দেশ দেন শাহ। যদিও অমিত শাহর বক্তব্য় শুনে চুপ করে থাকেননি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি দিল্লির হিংসা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কেমন হবে, জানালেন অমিত শাহ
সভা শেষের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই টুইটে অভিষেক লিখেছেন, "বাংলায় প্রচারে এসেছেন অমিত শাহ। দিল্লির হিংসার ঘটনায় ৫০জন নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করতে ব্য়র্থ হয়েছেন, তার জন্য় আপনার ব্য়াখ্য়া ও ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। ওই হিংসা আপনার নাকের ডগায় হয়েছে। মি. শাহ বিজেপির ধর্মান্ধতা ও বিদ্বেষ ছাড়া বাংলা ভাল আছে।" এভাবেই অমিত শাহর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি হিংসার প্রভাব পড়েছে বাংলায়। এদিনের সভা নিয়ে যতটা গর্জন করেছিল বঙ্গ বিজেপি, তেমন ভিড় লক্ষ্য় করা যায়নি। তবে হাজির কর্মী-সমর্থকদের মধ্য়ে জোস লক্ষ্য় করা গিয়েছে।