আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা সহ ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিচ্ছে বাংলার শাসক দল। আত্মপ্রকাশেই গেরুয়া শিবিরকে মোক্ষম ঘায়েল করতে মরিয়া ঘাস-ফুল শিবির। ইতিমধ্যেই একাধিক ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে বাধা সহ নানাভাবে বিজেপি হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূলের। শুরু হয়েছে দুই ফুল শিবিরের চাপানউতোর। এরই মধ্যে ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটে তিনি দলের হয়ে প্রচার করবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, উত্তরপূর্বের ছোট্টর রাজ্যে ভোট যুদ্ধ জয়ে এ রাজ্য থেকে তৃণমূল দলের পাঁচ বিধায়ক সহ মোট ৯ জন নেতাকে পাঠিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২২ নভেম্বর ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ত্রিপুরায় গিয়ে সভা করেছিলেন তিনি। সেই সভায় বিপ্লব দেবের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, 'আজ খুঁটিপুজো হল, ২০২৩-এ হবে বিসর্জন। বিজেপিকে আনা মানে খাল কেটে কুমির আনা। বিজেপি এলে ত্রিপুরা হবে আফগানিস্তান।'
শুরু থেকেই ত্রিপুরায় সংগঠন পোক্ত করতে মরিয়া তৃণমূল। বাংলার একাধিক মন্ত্রী থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা গত কয়েক মাস ধরেই লাগাতার পার্শ্বর্তী ওই রাজ্যে পড়ে রয়েছেন। দলের মহিলা সাংসদ থেকে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বরা হালারও শিকার হয়েছেন। পুলিশ মাঝে মধ্যেই ডেকে পাঠাচ্ছে তৃণমূলের এ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদককে। কিন্তু তাও পিছপ হঠতে নারাজ ঘাস-ফুল বাহিনী। উল্টে পুরভোটের যুদ্ধ জিততে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে বাংলার ৫ বিধায়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ ৯ নেতাকে ত্রিপুরায় পাঠিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের দেওয়া তালিকা অনুসারে, ত্রিপুরার সেপাইজালা জেলার সোনামুড়ার নগর পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে। তাঁকে সহযোগিতা করবেন কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকে। তাঁকে সহায়তা করবেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন ও পূর্ব মেদিনীপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরিকে দেওয়া হয়েছে ধলাই পুরসভার দায়িত্ব।
আগরতলা পুরসভার দায়িত্বে তৃণমূলের তিন নেতা। এই পুরসভার ১ থেকে ১৭ টি ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন আইএনটিটিইউসি-র পশ্চিম বর্ধমানের সভাপতি অভিজিৎ ঘটক। ১৮-৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন অশোকনদরের তৃণমূল বিধায়ক অশোক গোস্বামী। এছাড়া, আগরতলার ৩৫-৫১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বের রয়েছেন জয়গাঁও উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন