একুশের ভোটে নেতৃত্বদানে সাফল্যের পুরস্কার পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হল অভিষেককে। ফলে জাতীয়স্তরে গুরুত্ব বাড়ল তাঁর। 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নীতি মেনে দলের যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট রয়েছে। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয়স্তরে দলের অন্যতম শীর্ষ পদ দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
কর্মসমিতির বৈঠক থেকে তৃণমূলের সংগঠনে এদিন ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। অভিষেকের জায়গায় এবার যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে আনা হল সায়নী ঘোষকে। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার ভোটে লড়াই করেছিলেন সায়নী। তবে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন। যদিও অভিনেত্রীর লড়াইয়ের প্রশংসা করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলের এক মাসের কিছু পরেই সায়নীকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল।
মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিনই মন্ত্রী রয়েছেন তিনি। তাই দলীয় নীতি মেনে ওবার ওই পদে কাকলিদেবীকে আনা হল। এর আগেই মহিলা তৃণমূলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কৃষক সংগঠনের প্রধান করা হল প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে। ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়কে শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতৃত্বে থাকছেন দোলা সেন।
তৃণমূলে রাজ্য সম্পাদক করা হল সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হল কুণাল ঘোষকে। তৃণমূলের সংস্কৃতিক সেল পুনর্গঠিত হয়েছে। এই সেলের প্রধান করা হয়েছে বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে। বঙ্গজননী বাহিনীর দায়িত্বে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়।
সূত্রের খবর, আট জেলায় দলীয় সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের বৈঠকে। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি জেলা সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কবে এই বদল হতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ্ব রাখার কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কথায় কথায় লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না বলে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া কয়লা, বালি পাচার নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিধানসভার প্রচারেও তৃণমূলকে বিঁধতে এই অভিযোগকে তুলে ধরে বিজেপি। এক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন মমতা। কারোর বিরুদ্ধে যাতে এই ধরণের অভিযোগ না ওঠে তার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেত্রী। দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন