রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড দোলা ও শান্তনু সেন। প্রতিবাদে মুখর তৃণমূল। চলছে সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে জোড়া-ফুল সাংসদদের ধর্না আন্দোলন। মঙ্গলবার তাতে শামিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডে-র উপস্থিতিতে উজ্জীবিত আন্দোলনকারী ঘাস-ফুলের সাংসদরা।
পরে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তৃণমূল কোন পথে দিশায় এগোবে তার দিক নির্দেশ দেন তিনি।
আপাততভাবে তৃণমূলের ধর্নায় অভিষেকের যোগদান নিছকই স্বাবভাবিক ঘটনা। কিন্তু, রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে এর গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এ দিন সংসদ চত্বরে তৃণমূল সাংসদদের ধর্নায় যোগ দিয়ে এক ঢিলে দিল্লির শাসক ও বিরোধী শিবিরকে বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।
জাতীয় রাজনীতিতে এখন তৃণমূল এবং কংগ্রেসের অবস্থান দুই মেরুতে। সম্প্রতি মুম্বই সফরে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ইউপিএ-র অস্তিত্বই নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোটে নারাজ তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে হাত শিবিরও। মমতার মন্তব্য ও রাজনীতিতে আদলে মোদী ও বিজেপির সুবিধা হচ্ছে বলেই দাবি শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির। কার্যত মোদী-মমতা আঁতাঁতের তত্ত্বও খাড়া করছেন কংগ্রেস। এমনকী রাজ্যসভার সাংসদ সাসপেন্ড ইস্যুতে একযোগে ধর্নায় বিরোধী দলগুলির সঙ্গে তৃণমূলকে স্বল্প সময়ের জন্য দেখা গেলেও আদতে জোড়া-ফুল সাংসদরা পৃথকভাবেই অবস্থান করছেন।
এই পরিস্থিতিতে সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূল সাংসদদের ধর্নামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদান আদতে পদ্মে বিরোধীতায় একচলোর বার্তা।
অন্যদিকে আপোস না করেই যে তৃণমূল সংসদের বাইরের মতো ভিতরেও শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে সেটাও কৌশলে তুলে ধরতে চেয়েছেন বাংলার শাসক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
আরও পড়ুন- অভিষেকের উপস্থিতিতে TMC-র সংসদীয় বৈঠক, ‘সাংসদরা মানুষের জন্য কাজ করবেন’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন