ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে পুরভোটে সন্ত্রাস, রাজ্যের দু'টি পুরসভার কাউন্সিলর খুন, সবশেষে বগটুইটের গণহত্যা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির দাবিতে সোচ্চার বিরোধী শিবির। শুভেন্দু থেকে সুকান্ত, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করেছেন। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ বললেন, কেন্দ্র বিরোধীদের দাবি মানলে আখেরে লাভ তৃণমূলেরই।
এ দিন বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় হয়ে প্রচার ব়্যালিতে আগাগোড়াই ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রোড শো শেষে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রামাত্মক মেজাজে ধরা দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। রাজ্যের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থেকে, গরু ও কয়লাপাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তলব নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।
রাজ্যের রাজনীতিতে বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবিকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে। বলেছেন, 'ক্ষমতা থাকলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেখান। একুশে ২১৩টা জিতেছি। সামনের বার ২৫০টা জিতব।'
কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তলব পেয়ে একাধিকবার হাজিরা এড়ালেও দু'বার হাজিরাও দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেরা চলেছিল নয় ঘন্টারও বেশি। শুধু তাঁকেই নয়, এই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককেও তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যা নিয়ে কার্যত কেন্দ্রকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, 'কলকাতার মামলায় ডাকছে দিল্লিতে। ন'ঘন্টার বেশি জেরা করেছে। সব জাবাব দিয়েছি। কিন্তু কেউ যদি ভাবেন চারটে নোটিস পাঠিয়ে অভিষেককে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন।' অভিষেকের স্পষ্ট দাবি, আসানসোলে ২ লাখ ও বালিগঞ্জে ৬০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে তৃণমূল।
অগ্নিমূল্য বাজারদর, জ্বালানির দামও আকাশ ছোঁয়া। এর দায়ে এ দিনই কেন্দ্রের ঘাড়েই দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যতিক্রম হলেন না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রও।