'মমতার কাছে প্রশাসন চালানো শিখুন মোদী', স্বাস্থ্যসাথীর প্রশংসা করে খোঁচা অভিষেকের

রাজ্যের ‘‌স্বাস্থ্যসাথী’র সঙ্গে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’‌ প্রকল্পের তুলনা টেনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারকে আক্রামণ শানালেন।

রাজ্যের ‘‌স্বাস্থ্যসাথী’র সঙ্গে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’‌ প্রকল্পের তুলনা টেনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারকে আক্রামণ শানালেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজ্যের ‘‌স্বাস্থ্যসাথী’র সঙ্গে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’‌ প্রকল্পের তুলনা টেনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারকে আক্রামণ শানালেন। জানালেন, সরকার বা প্রশাসন কীভাবে চালাতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শেখা উচিত নরেন্দ্র মোদীর।

Advertisment

টুইটবার্তায় অভিষেক বলেছেন, ‘‌জাতি–ধর্ম–বর্ণ–শ্রেণি নির্বিশেষে পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষ এই পরিষেবায় উপকৃত। এটা আবার প্রমাণিত হল যে আজ যা বাংলা ভাবে তা আগামীকাল ভাবে ভারত।’‌ তৃণমূল সাংসদ টুইটে উল্লেখ, স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার সূচনা হয় ২০১৬–র ডিসেম্বর মাসে আর আয়ুষমান ভারত চালু হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। যেখানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ১০০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার, সেই তুলনায় আয়ুষমান ভারতের জন্য মাত্র ৬০ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পান। কিন্তু দেশের যে সব রাজ্যে আয়ুষমান ভারত চালু হয়েছে, সেখানকার প্রতিটি বাসিন্দা সেই প্রকল্পের সুবিধা পান কিনা সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে।

Advertisment

অভিষেক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথীর আওতাভুক্ত পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার জন্য একটা টাকাও নেয় না রাজ্য সরকার। কিন্তু আয়ুষমান ভারতের পরিচয়পত্রের প্রিন্ট আউট পেতে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে ৩০ টাকা করে দিতে হয়। একটি পরিবাররে পাঁচজন সদস্য থাকলে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে খরচ করতে হবে ১৫০ টাকা। পরিবারের যিনি প্রধান মহিলা সদস্য তাঁর নামেই দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড। সেই মহিলা, তাঁর স্বামী ও সন্তানদের পাশাপাশি এই পরিষেবা পাবেন তাঁর মা–বাবা ও তাঁর শ্বশুর–শাশুড়িও।

মার্ট কার্ড থাকায় হাসপাতালে ভর্তির যে প্রক্রিয়া তাতে কোনও সমস্যা হয় না। কোনওভাবে তাতে দেরিও হয় না। কিন্তু আয়ুষমান ভারত প্রকল্পের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হতে খুবই ধীর গতিতে কাজ হয় বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন:  পদত্যাগ গৃহীত, শুভেন্দুর তিন দফতরই নিজের হাতে রাখলেন মমতা

বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত নাগরিক স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবে। প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে ১টি করে স্মার্টকার্ড। সেই কার্ডের মাধ্যমে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে পারবেন তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যের ৭.৫ লক্ষ মানুষ আগে থেকেই স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে ছিলেন। বাকিদের মধ্যে যাঁরা অন্য কোনও স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পান না তাদেরও এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের অধীনে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবে প্রতিটি পরিবার। দিল্লির এইমস ও ভেলোরের সিএমসি হাসপাতাল সহ রাজ্যের ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্পের অধীনে মিলবে ক্যাশলেস সুবিধা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp abhishek banerjee modi