অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে উত্তাল ত্রিপুরা। বিমানবন্দর থেকে ক্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছানোর রাস্তায় একাধিক জায়গায় কালো পতাকা দেখানো হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। গেরুয়া পতাকা হাতে রাস্তা ঘিরে দাঁড়িয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী অভিষেককে উদ্দেশ্য করে 'গো-ব্যাক' স্লোগান দিতেও শোনা যায়। অভিষেকের কনভয়ের একটি গাড়ির উপর হামলা হয়। লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভইযোগ। সেই ভিডিও নিজেই টুইট করেন তিনি। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর এদি অভিষেক বন্দ্যোপাদ্যায় বলেন, "অতিথি দেব ভবো-র উদাহরণ দেখলাম, ত্রিপুরার মানুষই এর বিচার করবেন।" ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন পদ্ম শিবিরের সেই দাবিকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, "দিল্লি থেকে এসে বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন বিজেপি নেতারা। একবার তাঁরা ত্রিপুরায় এসে দেখুন এখানকার গণতন্ত্রের কী অবস্থা।"
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় অভিষেক, উঠল ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান, পাল্টা ‘খেলা হবে’ ধ্বনি তৃণমূলের
এদিন সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে জমায়েত করেছিলেন বহু তৃণমূল কর্মী, সমর্থক। বিজেপির 'গো-ব্যাক' স্লোগানের পাল্টা ‘খেলা হবে’ ধ্বনি তোলেন জোড়া-ফুল কর্মীরা। কোভিড বিধি লঙ্ঘনের দায়ে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বচসার বাঁধে। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
গত সপ্তাহে ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে থাকার ঘটনাকে তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে তোপ দেগেছে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মানুষ অতিথিদের দেবতার চোখে দেখে। তৃণমূলের দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন। বিপ্লব দেবের কথায়, “আমি ওনাকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বর্ষীয়ান রাজনীতিক হিসাবে সম্মান করি। যে-ই এই রাজ্যে আসবেন তাঁকেও সম্মান জানানো হবে। আমাদের দর্শনই হল ‘অতিথি দেব ভব’। সকলের জন্যই এই বিশ্বাস আমরা রাখি।”
এদিন যাত্রা পথে বাঁধার সম্মুখীন হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সেই দর্শনকেই বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন