ছত্তিশগড়ে নৃশংস মাওবাদী হামলায় শহিদ হয়েছেন ২২ জন আধাসেনা জওয়ান। জখম হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে বিস্ফোরণের পর এতবড় নাশকতা হল শনিবার। যার জেরে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। এবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন তৃণমূল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক কেন্দ্রে নির্বাচনী জনসভা করেন যুব তৃণমূল সভাপতি। তিনি বললেন, এতবড় নাশকতা হল, তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। পুলওয়ামার পর এত বড় নাশকতা দেশে হয়নি। দেশের বীর জওয়ানদের নৃশংস ভাবে হত্যা করল মাওবাদীরা। কিন্তু কী করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, উনি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় একজনকে হারাতে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। কোনও হেলদোল নেই।
এদিন তিনি জনতাকে মনে করিয়ে দেন, "বাম জমানায় জঙ্গলমঙল মাও সন্ত্রাসের জেরে সন্ত্রস্ত হয়ে থাকত। রোজ খবরের কাগজ খুললেই মাও হানায় মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যেত। শুধু রক্তাক্ত হত জঙ্গলমহল। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলা হয় না। জঙ্গলমহল এখন শান্ত হয়েছে মমতা সরকারের নেতৃত্বে। একটাও নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়নি জঙ্গলমহলে। কিন্তু ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের নির্মূল করতে পারেনি বিজেপি। তার ফল ভুগতে হচ্ছে। বাংলা পেরেছে, মুখ্যমন্ত্রী পেরেছেন।"
প্রসঙ্গত, মাও হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ফোন করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি সিআরপিএফের ডিজিকে দ্রুত বিজাপুরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। অমিত শাহ টুইট করে জানিয়েছেন, “মাওবাদীদের হামলায় শহিদ নিরাপত্তরক্ষীদের বলিদানকে কুর্নিশ জানাই। দেশ তাঁদের এই বলিদান ভুলবে না। আমার সমবেদনা তাঁদের পরিজনদের প্রতি রয়েছে। আমরা শান্তি ও উন্নতির পথে বাধা শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”